চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিপ্লবীদের তীর্থ স্থান উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘অনেক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা এ চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হয়েছে। ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধসহ অনেক কালজয়ী ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল এখানে। এসব ঐতিহ্যবাহী স্থান শনাক্ত করে সংরক্ষণের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অন্বেষন ও জ্ঞানের দুয়ার খুলে দিতে হবে। সিটির যে সব স্থানে মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্মৃতিময় চিহ্ন রয়েছে, তা সংরক্ষণ করে স্থাপনা ও ইতিহাস সংবলিত স্মারক স্থাপন করা হবে ‘
মেয়র শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তার বাস ভবন চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সাথে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
যুদ্ধকালীন ফটিকছড়ি থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল আজিমের সভাপতিত্বে ও কাজী আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এ সময় বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রাশেদ, একেএম আবদুল মতিন চৌধুরী, এমএন ইসলাম, ডাক্তার সরফরাজ খাঁন চৌধুরী বাবুল, আবুল কাশেম চিশতী, এএইচএম জিলানী চৌধুরী, আবুল বশর, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, পান্টু লাল সাহা, মুনিরুল ইসলাম, নির্মল চন্দ্র নাথ, মীর কাশেম, আহমদ হোসেন, মোহাম্মদ ইউছুফ, এসএম সেলিম, দেওয়ান মাকসুদ আহমদ, সৈয়দ মাহমুদুল হক, জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রে আনার প্রয়াস হাতে নিয়েছি। চট্টগ্রাম জেলায় বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক অবস্থান নেই। তাই বৃহত্তর চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত করে সংগঠিত করতে চাই।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত বিএনপি চক্র জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। অন্য দিকে, জঙ্গি তৎপরতাসহ দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে অশুভ শক্তির চক্রান্ত রুখতে আমাদের সংগঠিত হতে হবে।
সভায় আনোয়ারুল আজিম আন্দরকিল্লাস্থ চসিকের পুরাতন ভবনে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য অনুরোধ জানান।