তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালি কাবিন’ থেকে পাঠকদের সামনে একটি কবিতা তুলে ধরা হল-
সোনালি কাবিন
সোনার দিনার নেই, দেনমোহর চেয়ো না হরিণী
যদি নাও, দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দু’টি,
আত্নবিক্রয়ের স্বর্ণ কোনকালে সঞ্চয় করিনি
আহত বিক্ষত করে চারিদিকে চতুর ভুক্রুটি;
ভালোবাসা দাও যদি আমি দেব আমার চুম্বন,
ছলনা জানিনা বলে আর কোন ব্যবসা শিখিনি;
দেহ দিলে দেহ পাবে, দেহের অধিক মূলধন?
আমার তো নেই সখি, যেই পণ্যে অলংকার কিনি।
বিবসন হও যদি দেখতে পাবে আমাকে সরল
পৌরুষ আবৃত করে জলপাইর পাতাও থাকবে না;
তুমি যদি খাও তবে আমাকেও দিও সেই ফল
জ্ঞানে ও অজ্ঞানে দোঁহে পরস্পর হবো চিরচেনা
পরাজিত নয় নারী, পরাজিত হয় না কবিরা;
দারুন আহত বটে আর্ত আজ শিরা-উপশিরা
-কবি আল মাহমুদ।
মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ যিনি আল মাহমুদ নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোট গল্প লেখক, শিশু সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন।
জন্ম: ১১ জুলাই, ১৯৩৬, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মারা গেছেন: ৮২ বছর বয়সে ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ঢাকা।
সত্তর দশকে আগে কবি আল মাহমুদ কবিতা এবং ব্যক্তি আল মাহমুদ সাথে সত্তর দশকে পরবর্তী কালে কবিতা ও ব্যক্তির সাথে যোজন যোজন ফারাক হয়ে গেছে। পরবর্তীকালে তিনি অনেক বিতর্কিত কবিতা লেখেছেন।
তাঁর চিন্তা, চেতনার সাথে একমত নয়! তবু তাকে আমি শ্রদ্ধা ও স্মরণ করি, বিচার করি সোনালী দিনের ‘সোনালি কাবিন’ কাব্য দিয়ে।
কবির মৃত্যু বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।