চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনকে ঘিরে চার দিকে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা, ভোটের হিসাব-নিকাশ, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ভাষ্য মতে, ধরপাকড়, ভয়ভীতি, নেতাকর্মীদের হুমকি-ধুমকি, নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা, নির্বাচনের মাঠে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ-সুবিধা, নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের সাধারণ ছুটি না থাকা, সিইসির রহস্যজনক ও হাস্যকর বক্তব্য, বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনী মাঠে নীরব ভূমিকা, দলীয় ক্রোন্দলে সহিংসতার আশঙ্কা, ভোটারদের উপস্থিতি ও স্বাধীন ভোট প্রয়োগের নিরাপত্তা, সর্বোপরি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে কিনা?
চট্টলাবাসীর মতামত ও ভোট জরিপ অনুসারে, ৪০ শতাংশ ভোটার নির্ভয়ে বাধাবিহীন ভোট প্রয়োগ এবং ইভিএমে ভোটের সঠিক ফলাফল প্রকাশ করলে হয়তো ডাক্তার শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম নগরীর নব নির্বাচিত নগর পিতা হতে পারেন।
কোনো ‘বিজয়’ সংগ্রাম, আন্দোলন, নিপীড়ন, নির্যাতিত, প্রতিবাদ বিহীন অর্জন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের সাধীনতা সংগ্রাম, স্বৈরাচার আন্দোলন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ‘সমস্ত বিজয়’ আন্দোলন সংগ্রাম ও প্রতিবাদের মাধ্যমে অর্জিত।
বিএনপির নেতা কর্মীরা ভয়ে বাড়িতে বা লুকিয়ে থেকে খালি মাঠে গোল বা ভোটের সুযোগ দিলে কেউ এসে তাদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতাই বসাবে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা এখনো দিবা স্বপ্ন দেখছে। ক্ষমতা বা নির্বাচনে জয় লাভের জন্য ত্যাগ ও সাধনার প্রয়োজন। নির্বাচনের দিন সকলের উচিত সহিংসতা পরিহার করে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের আনার ও আসার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
চট্টলাবাসী চাই, চসিক নির্বাচন সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক হক।
লেখক: এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অ্যান্ড জর্জ কোর্ট, চট্টগ্রাম।