সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : দৈনিক সকালের সময় সম্পাদক ও প্রকাশক মো. নূর হাকিমসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন চট্টগ্রামের যুব মহিলা লীগের নেত্রী মোস্তারী মোরশেদ স্মৃতি।
পিটিশনে অন্য বিবাদীরা হলেন দৈনিক সকালের সময়ের বিশেষ প্রতিনিধি মো. কামাল উদ্দিন, নিজস্ব প্রতিবেদক মো. নজরুল ইসলাম, দৈনিক মুক্তবাণী সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ববিতা বড়ুয়া এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুব মহিলা লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সোনিয়া আজাদ।
আদালত পিটিশনটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সিএমপির পাহারতলী থানায় পাঠানো হয়েছে।
পিটিশনের বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা পাহারতলী থানার এসআই মো. আফসার বলেন, ‘সাইবার ট্রাইব্যুনাল থেকে একটি পিটিশনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমাকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়ার পাপ কাজের অন্যতম সহযোগী চট্টগ্রামের স্মৃতি নামের এক মহিলা যুবলীগ নেত্রী। পাপিয়ার গ্রেফতার হওয়ার পর স্মৃতির সাথে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাপিয়ার সাথে স্মৃতির একাধিক ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
পাপিয়ার সহযোগী মোস্তারী মোরশেদ স্মৃতির বিরুদ্ধে মাদক, ইয়াবাসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালের দিকে নগরীর হালিশহর এলাকায় চার হাজার টাকায় ভাড়া বাসায় থাকলেও যথা সময়ে ভাড়া দিতে না পারায় জমিদার (বাড়িওয়ালা) বাসা থেকে বের করে দেন এই স্মৃতিকে। কিন্তু চার বছরের ব্যবধানে সেই স্মৃতি বনে যান গাড়ি, বাড়ি ও কোটি কোটি টাকার মালিক। মোস্তারী মোরশেদ স্মৃতির স্বামী মোহাম্মদ বেলালও তার স্ত্রীর সাথে ইয়াবা ব্যবসায়ের সাথে জড়িত বলে সেই সময় স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন। স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত না থেকেও চট্টগ্রাম মহানগর যুব মহিলা লীগের কমিটিতে তার নাম আসায় এ নিয়ে শুরু থেকে বির্তক ছিল। পাপিয়ার মাধ্যমে নেত্রী বানানো বা যুব মহিলা লীগের কমিটিতে পদ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অনেকের কাছ থেকেই হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। এই প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগও করেছেন এক মহিলা নেত্রী। পাপিয়ার মাধ্যমে বড় বড় নেতাদের সাথে পরিচয় করিয়ে পদ পাইয়ে দেয়া, প্রশাসনের লোকজন, শিল্পপতিদের সাথে সখ্যতা গড়া এবং বিভিন্ন অসমাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ অহরহ। এছাড়া যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের ইয়াবা ব্যবসা করার জন্য সরাসরি প্রস্তাব দিতেন বলে একাধিক নেত্রীর অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমা আকতার মিতা (মিতা খান) তখন বলেছিলেন মোস্তারী মোরশেদ স্মৃতির নামটি কমিটিতে আসার পর আমরা সবাই হতবাক হয়ে যাই, এরকম একজন বির্তকিত মহিলা নিয়ে কমিটির সবাই বিব্রত অবস্থায়, পাপিয়ার সাথে নিয়মিত সর্ম্পক রয়েছে গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত বিষয়টি অনেকের জানা ছিল না।
এ বিষয়ে নগর যুব মহিলা লীগের আহবায়ক অধ্যাপিকা সাইরা বানু রৌশনী গণমাধ্যমে একটি বিবৃতিও দিয়েছিলেন, যা চট্টগ্রামের সর্বাধিক প্রচারিত আজাদীতে প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি