ইমরাউল রাফাত: আমরা কি কেউ বুঝতে পারছি না? একটা সংঘবদ্ধ চক্র নাটক, সিনেমা, থিয়েটার তথা শিল্প সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এসব বন্ধ করে দেশটাকে একটা তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করায় তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
নাটক সিনেমায় ধুমপান কেন নিষিদ্ধ হবে না হাইকোর্টের রুল, পুলিশকে নেগেটিভ দেখানো যাবে না, সরকারি অফিসারকে ঘুষখোর দেখানো যাবে না।
নোয়াখালী সমর্থক গোষ্ঠী, বরিশাল সমর্থক গোষ্ঠী, প্রত্যেক জেলা সমর্থক গোষ্ঠী, শুদ্ধ উচ্চারণ সমর্থক গোষ্ঠী, শুদ্ধ উচ্চারণের বিরুদ্ধে সমর্থক গোষ্ঠী, কথায় কথায় নাটক সিনেমার লোকের নামে মামলা ও হয়রানি। সামাজিক মাধ্যমে কুৎসিত বুলিং করে সামাজিকভাবে মেধাবীদের এ মাধ্যমে থেকে দূরে সরানো এবং যারা প্রতিবাদ করবে তাদের সরকার বিরোধী বলে চালিয়ে দেওয়া সবই গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
এখনো যারা ভাবছেন, আমি তো কাজ করছি, আমার তো সমস্যা হচ্ছে না; তারা ভুলের স্বর্গে বাস করছেন। এর বিরুদ্ধে এখনি সোচ্চার না হলে খুব সর্বনাশ অবধারিত। দেশের যে কোন ক্লান্তি লগ্নে সংস্কৃতি কর্মীরা সব সময়ই স্বাধীনতা পক্ষের সাথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য স্বাধীনতা পক্ষের শক্তির সাথে সাংস্কৃতিক কর্মীদের একটা বিশাল দন্ধ তৈরি করা। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি।
লেখক: নাট্য নির্মাতা ও পরিচালক, ফেসবুক পোস্ট