চট্টগ্রাম: ২০২০ সালে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে তথা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে মারা গেছে ১০ জন শ্রমিক এবং আহত হয়েছেন ২৯ জন। বিলস লেবার রিসোর্স অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার চট্টগ্রামের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
চট্টগ্রামসহ সারা দেশে কোভিড পরিস্থিতিতে শ্রমিক কৃষক তথা মেহতি মানুষের চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায় সম্পর্কে অবহিত করতে বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
এতে বিলস এর পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সেন্টার কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি তপন দত্ত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতা তপন দত্ত বলেন, ‘চট্টগ্রামের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর শিপ ব্রেকিং। ২০-২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিক জীবন হাতে নিয়ে কাজ করে এখানে। যে কোন সময় পরপারে যাওয়া যেন তাদের কপালের লিখন। শিপ ব্রেকিং সেক্টর চার দশক পার করেছে। সরকার বহু প্ল্যান করে। কিন্তু শ্রমিকদের কোন ধরনের অধিকার এখানে প্রতিষ্ঠিত হয় না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকার শ্রমিক মালিক সমন্বয়ে গঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে নির্ধারিত ও ঘোষিত নিম্নতম মজুরী এখানে কার্যকর করা হয় না। তিন বছর অতিক্রান্ত হলেও মালিক পক্ষ নিম্নতম মজুরী বোর্ডের রায় কার্যকর করছে না। শিপ ইয়ার্ডগুলো যেন মৃত্যুর কারখানা। ২০২০ সালে মারা গেছে ১০ জন আহত ২৯ জন। এত মৃত্যু, গুরুতর আহত অথচ জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।’
তপন দত্ত বলেন, ‘উৎপাদনের মূল চালিকা শক্তি শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ণে সরকার ও মালিকপক্ষকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের দাবি দাওয়া সহানুভূতির সাথে বিবেচনায় নিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত ও জাতীয় ন্যূনতম মজুরী ঘোষণাসহ সাত দফা দাবি সরকারের উদ্দেশ্যে পেশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সেন্টার কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্য সচিব মু. শফর আলী এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি ও সেন্টার কোঅর্ডিনেশন কমিটির চেয়ারম্যান এএমনাজিম উদ্দিন, বিলস এলআরএসসি এর সিনিয়র কর্মকর্তা রিজওয়ানুর রহমান খান, প্রোগ্রাম অফিসার ফজলুল কবির মিন্টু প্রমুখ।