শ্রমিকদের দাবিগুলো ছিল অতি সাধারণ ন্যায্য এবং শ্রম আইন সম্মত। কিছু দাবি শ্রম আইনে প্রদত্ত সুবিধা হতে আরো কম। কর্তৃপক্ষ দাবিগুলো আলোচনা করে মীমাংসা করতে পারত। কিন্তু কর্তৃপক্ষের আচরণ ছিল বরাবরই অত্যন্ত অসহনশীল এবং শ্রম আইন ও শ্রমিকদের প্রতি ছিল চরম অবজ্ঞা সুলভ মনোভাব। অন্য দিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও আইন ভঙ্গকারী প্লান্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো শ্রমিকদেরকে গুলি করে, শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে এবং দমন পীড়নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। এতে সাতজন শ্রমিকের তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যায় এবং অর্ধশতাধিক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়।
আহতদের অধিকাংশের হাতের বাহুতে গুলি লাগে। অল্পের জন্য সৌভাগ্যক্রমে যাদের বুকে গুলি লাগেনি তারা জীবনে বেঁচে গেলেও তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। হতভাগ্য আহত ও নিহত শ্রমিকদের অধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। কর্তৃপক্ষের অসহনশীল আচরণ এবং শ্রমিকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গন্ডামারার মাটি রক্তাক্ত হল। অকালে ঝরে গেল সাতটা তাজা প্রাণ এবং আহত হল অর্ধশতাধিক শ্রমিক।
(চলবে)