ভূঁইয়া সামি আল মুজতবা শুভ : ‘তোর চলে যাওয়ার তিন বছর হল। এত তাড়াতাড়ি চলে যাবি, এমন ত কথা ছিলো না বন্ধু! ‘কপালের লিখন যায় না খন্ডন’-এই নীতি মেনেই তিন বছর আগে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলি!’
‘জীবন চলছে আগের মতই। তোর শুন্যতা তোর খুব ক্লোজ যাদের সাথে প্রাইমারি, হাই স্কুল, কলেজ এক সাথে পার করেছিস, রেল লাইনে বসে একসাথে আড্ডা দিতি, তারাও অনুভব করে না। বাস্তবতার নির্মম স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছি আমরা। খুব ক্লোজ ছিলাম না আমি তোর। কিন্তু দূরেরও কেউ ছিলাম না। ২০০২ ব্যাচের হারিয়ে যাওয়া প্রথম বন্ধু!’
‘তোর প্রয়ায় দিবসে চেয়েছিলাম সীতাকুন্ডতে আমরা যারা তোর বন্ধু ছিলাম তাদের একত্রিত করতে। তাও সবার ব্যাস্ততার কারণে বোধহয় হল না। যেখানেই থাকিস, দোস্ত ভালো থাকিস।’
‘আমাদের ক্ষমা করিস। আজকে তুই নেই, কাল হয়ত অন্য কেউ থাকবে না। আস্তে আস্তে চলে যাবো সবাই এই বন্ধন ছেড়ে। তোর চলে যাওয়া আমাদের ২০০২ ব্যাচকে একত্রিত করেছিলো, বন্ধুত্বের বন্ধনকে শক্ত করেছে।’
‘চেস্টা করবো-এই বন্ধন মজবুত ও একত্রিত রাখার।’
(সীতাকুন্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি ২০০২ ব্যাচের রিমন দে এর তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকীতে বন্ধু ভূঁইয়া সামি আল মুজতবা শুভর স্মৃতিচারণ)