ঢাকাবুধবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যুগ শ্রেষ্ঠ মহাসাধক হযরত গায়েবী ধন (কঃ) মাইজভান্ডারী

আবছার উদ্দিন অলি
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১ ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা, নদী নালা নির্ঝরিনি ঝর্ণা ধারার কলতান আর উঁচু নিচু পাহাড় পর্বতে পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রাজধানী, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে আগত আওলাদে রসুল শহর বার আউলিয়ার কাফেলাসহ গাউছ কুতুব অলি দরবেশগণের সাধনাস্থল পূণ্যভূমি শান্তির আবাসন স্বর্গভূমি চট্টগ্রামের বৃহত্তর ফটিকছড়ি থানা মাইজভান্ডার গ্রামে আধ্যাত্ম শরাফতের শাহানশাহ রাসূলে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নূরানী বংশধর আওলাদে রাসূল, হযরত গাউছুল আজম শাহ্ সূফী সৈয়দ মাওলানা আহমদ উল্লাহ (কঃ) মাইজভান্ডারী আলহাছানী ওয়াল হোছাইনী কিবলা কাবা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ত্বরীকায়ে মাইজভান্ডারীয়া জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী নির্বিশেষে সমগ্র বিশ্বে আজ সু-প্রতিষ্ঠিত। অপর দিকে, মহান স্রষ্টার সৃষ্টি রহস্যের অপূর্ব লীলা, ত্বরিকায়ে মাাইজভান্ডারীয়ার নিখুঁত রাজ রহস্য ও পরিপূর্ণতা দানকারী, উম্মতে মুহাম্মদীর ক্লান্তিলগ্নে, যুগের বিশেষ প্রয়োজনে, জ্বিন-ইনসানসহ স্রষ্টার সৃষ্টিতে সব প্রাণী জগতের কল্যাণে, গাউছুল আজম হযরত কিবলা কাবার প্রতিশ্রুতি মেহমান, হাজত রওয়া, মুসকিল কোসা, ছেরাজুস ছালেখিন, রুহুল আশেকীন, আমাদের প্রিয় নবী রাসুলে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেলায়তি ধারার, নূরানী বংশধর আওলাদে রাসূল হযরত গাউছুল আজম শাহসূফী সৈয়দ মাওলানা গোলামুর রহমান (কঃ) আল মাইজভান্ডারী, আল হাছানী ওয়াল হোছাইনী কিবলা কাবা (কঃ), বাবাজান কিবলা মাওলায়ে রহমান প্রকাশ বাবা ভান্ডারী।

গাউছুল আজমদ্বয়ের বরকতময় ও কারামত পূর্ণচরণ ধুলোর বরকতে এ অজপাড়া গাঁ মাইজভান্ডার গ্রামটি আজ মাইজভান্ডার দরবার শরীফ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে সমগ্র বিশ্বে। আর এ যুগল গাউছুল আজমই হচ্ছেন উন্মুক্ত বেলায়ত ত্বরিকায়ে মাইজভান্ডারীয়া তথা বেলায়তে মোতলাকা যুগের আধাত্ম শারাফতের রাজাধিরাজ। আধ্যাত্মিক পার্লামেন্টের সুপ্রিম অথরিটি সংসদীয় প্রধান। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ওলি, গাউছ, কুতুব, আবদালগণের সমন্নয়ে গঠিত গাউছিয়ত সরকারের আইন প্রণয়ন ও অনুমোদন করেন যুগের গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী কিবলায়ে আলম।

এ দিকে, হযরত গাউছুল আজম বাবাভান্ডারী কিবলা কাবার বেলায়তি ঝলয়োয়ার প্রথম বিকাশ প্রথমা কন্যা, আধ্যাত্ম শরাফতের সুযোগ্য উত্তরসূরী, শাহজাদী সৈয়দা মায়মুনা খাতুন (কঃ) মাইজভান্ডারী আলহাছানী ওয়াল হোছাইনীর মাধ্যমেই এ বিশ্ব জগত আলোকিত করেছেন গাউছিয়তের জ্বলন্ত মশালের ঐশ্বরিক আলোতে।

এ মহিয়সী রমনী শাহজাদী সৈয়দা মায়মুনা খাতুন মাইজভান্ডারী তিনি তার প্রথম পুত্র প্রসব করেন প্রাণহীন রহস্যময় এক মানব সন্তান! মৃত সন্তানের মুখ দর্শনে রাগে, দুঃখে, অভিমানে পাথর হয়ে গেছেন সৈয়দ পরিবারের সকলে। ঠিক এ মুহুর্তে শোকাতুর ঘরে উপস্থিত হলেন গাউছুল আজম বাবাভান্ডারী কিবলা কাবা। আর কি, তিনি তাঁর প্রাণ প্রিয় নাতি, প্রাণহীন শিশুটিকে বরকতময় ও কারামত পূর্ণ কোল মোবারকে তুলে নিয়েই- নাড়িভূড়ি কছলাতে থাকেন কারামত পূর্ণ দুহাত মোবারকে। সঙ্গে সঙ্গে কেঁদে ওঠেন ওঁ-য়া করে। আনন্দের জোয়ার এসে যায় যুগল গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর নূরানী বংশধর সৈয়দ পরিবারে।

এবার হযরত গাউছুল আজম বাবা ভান্ডারী কিবলা কাবা তিনি তাঁর গাউছিয়েতের কারামতপূর্ণ চাঁদর মোবারকে নিয়ে দোলাতে দোলাতে ঘোষণা করেন দঅ দঅ আমার গায়েবী ধন বাবা অতঃপর দাদীমা সৈয়দা বদিউন্নেছা মাইজভান্ডারী কোলে তুলে দেয়ার সময় ঘোষণা করেন- তিনি আজ থেকে আমার গায়েবী ধন। তাঁকে আদর যত্ন করবেন।

উল্লেখ করা প্রয়োজন, গায়েবী ধন কোন গোত্র বা ব্যক্তির নাম হয় না বা হতে পারে না। গায়েব শব্দের অর্থটি হচ্ছে অদৃশ্য। ধন শব্দের অর্থ দৌলত বা সম্পদ। গায়েবী ধন শব্দটির তাৎপর্য ও ভাবার্থ সংক্ষেপে বলতে গেলে খোদাই রাজ রহস্যপূর্ণ গুপ্তধনকে বোঝানো হয়েছে এ ঘোণাটির মাধ্যমে। সহজভাবে, গাউছিয়ত সরকারের গুপ্ত ধন ভান্ডারের নাম ই হচ্ছে গায়েবী ধন। অপর দিকে, গায়েবী ধন ঘোষণার মাধ্যমে গাউছিয়ত সরকারের গুপ্ত ধন ভান্ডার বন্টনের গায়েবী ধন কিবলা কাবাকে ঐশ্বরিক ক্ষমতা প্রদান করার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন বাবা ভান্ডারী ঘোষণার মাধ্যমে। হযরত গাউছুল আজম বাবা জান কিবলা কাবার এ ঘোষণাটির মাধ্যমে বিশ্ববাসিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

উল্লেখ থাকে, যুগ শ্রেষ্ঠ মহাসাধক হযরত গায়েবী ধন কিবলা কাবার নজর করমের বরকতে, নিঃসন্তান পেয়েছেন সন্তান, দরিদ্র হয়েছেন ধনী, অভাবী হয়েছেন অট্টালিকার মালিক, শত সমস্যার হয়েছে সমাধান। অজ্ঞানী হয়েছেন জ্ঞানী, অন্ধ পেয়েছেন আলো, সাধারণ মানুষ হয়েছে অসাধারণ, মুর্খ হয়েছেন পন্ডিত, পরিবর্তন হয়েছে ইহকাল আর পরকালের ভাগ্য, স্বর্গীয় সুখ আর অনাবিল শান্তির নিশ্চয়তা পেয়েছেন কবরেও তার জলন্ত প্রমাণ অনেক। ভান্ডার শরীফ আজিম নগর গ্রামে গাউছিয়া গায়েবী ধন মঞ্জিল প্রতিষ্ঠা করেছেন এ আধ্যাত্ম শারাফতের প্রাণ পুরুষ যুগ শ্রেষ্ঠ মহাসাধক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম (কঃ) মাইজভান্ডারী আল হাছানী ওয়াল হোছাইনি (কঃ) গায়েবী ধন কিবলা কাবা।

আর তারই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার বৃহত্তর স্বার্থে, সমগ্র সৃষ্টি জগত তথা মানবের কল্যাণে, আলহাজ্ব সৈয়দ মওলানা আবুল মনছুর (মঃ) আল মাইজভান্ডারীকে তিনি তার স্থলাবিষিক্ত অর্থাৎ শাজ্জাদানশীনে দরবার নিযুক্ত করে গেছেন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমেই। সে সময় উপস্থিত ভক্তবৃন্দের সামনে ঘোষণা করেন- তোমরা আমাকে খুঁজে পাবে আমারই নিযুক্ত শাজ্জাদানশীনের মাধ্যমেই। তাকে সম্মান করবে- যেমনটি আমাকে করো। সে থেকে গাউছিয়া গায়েবী ধন মঞ্জিল এবং ত্বরীকতের সব আনজাম সহ বায়াত দানের মাধ্যমে শত শত নারী-পুরুষের মনো বাসনা পূরণ করতঃ ত্বরীকায়ে মাইজ ভান্ডারী তথা মাওলায়ে রহমানী চাঁদোয়া তলে আশ্রয় দেয়ার মহান দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে আসছেন অক্ষরে অক্ষরে।

পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার ফজলে (৯ ফাল্গুন) ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার হযরত গাউছুল আজম, শাহে দো আলম রুহুল আশেকীন, ছেরাজুছ ছালেকীন, ফানা ফিল্লাহ্, বাকা বিল্লাহ্, হাজত রওয়া, মুশকীল কোশা, মোর্শেদেনা ছৈয়্যদেনা, মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান আল্ হাসানী আল মাইজভান্ডারী বাবা ভান্ডারী কেবলা কাবার আলৌকিক জলওয়ার বিকাশ, গায়েবী ধন লকবি ও আদরের বড় নাতী, অলিয়ে কামেল, মুর্শিদে বরহক, হাজত রওয়া, মুশকিল কোশা, মোর্শেদেনা হযরত মাওলানা শাহ্ছুফি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম আল্ মাইজভান্ডারী আল হাসানী (প্রকাশ-গায়েবী ধন) কেবলা কাবার (কঃ) ৩৪তম বার্ষিক ওরশ শরীফ। এতে সব আশেকে রাসুল মাইজভান্ডারী ভক্তবৃন্দকে ওরশ শরীফে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

Facebook Comments Box