মো. আবুল বশার : বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুযোগ হলো ‘মানব-সম্পদ’। দেশটিতে রয়েছে তারুণ্যের প্রাচুর্য। দেশের কর্মক্ষম মানুষ (১৫-৬৫ বছর) মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ। অধিকন্তু জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগের বয়স ১৫-৩৫ বছরের মধ্যে। জনমিতির ভাষায় এটাই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট। সুতরাং, এই বিপুল জনশক্তির পরিমাণগত সুযোগকে কাজে লাগানোর মধ্যেই আমাদের দারিদ্র্যমুক্তি লুকায়িত। কেননা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি একটি দেশের দারিদ্র্য মুক্তির অন্যতম সোপান। বিএফডিআই (ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট) তথ্যমতে, একটি দেশের মানুষের গড় আয় যদি ১০ শতাংশ বাড়ানো যায় তাহলে সেই দেশের দারিদ্র্যের হার ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পায়। গবেষণা এও বলছে, শ্রমশক্তির সহজলভ্যতা একটি দেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়েই আকাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক মুক্তির পথে হাঁটছেন। সেই লক্ষ্যেই সরকার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’-সহ ১০০টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশে অন্তত এক কোটি নতুন কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতির চেহারাই পাল্টে যাবে এবং সমৃদ্ধির পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর উপমহাদেশের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল ‘মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল’ নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের সাধুরচর, শীলচর, মোশাররফচর ও পীরেরচর এলাকা, ফেনীর সোনাগাজী ও সীতাকু- অংশের ধুধু চরাঞ্চলজুড়ে ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সোপান। মাটি ভরাট করে তৈরি হচ্ছে একের পর এক শিল্পপ্লট। নির্মিত হচ্ছে ছোট-বড় নানা অবকাঠামো, বিস্তৃত পিচঢালা পথ, ভাঙন-প্রতিরোধী বেড়িবাঁধ। প্রকল্প এলাকায় যাতায়াতের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে চার লেনের সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য পৃথক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। জাহাজ ভেড়াতে টার্মিনাল নির্মাণ, সুপেয় পানির সরবরাহে গভীর নলকূপ স্থাপন এবং পর্যটন সম্ভাবনা তৈরি করতে পাঁচটি কৃত্রিম লেকের সমন্বয়ে ‘শেখ হাসিনা সরোবর’ করার কাজটিও হচ্ছে। সরকারের এ সাড়ে ৪ শ কোটি টাকার প্রকল্পে আগামী ২০২৫ সালে সম্পূর্ণ হতে পারে। এ প্রকল্পের সাথে রয়েছে সোনাগাজীতে বিমান বন্দর, কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের সাথে ২৩ কিলোমিটার সুপার ড্রাইভ নির্মাণ হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনায়নের প্রকল্প রয়েছে।এ শিল্প জোনে বিনিয়োগের জন্য পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব ধরনের অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়ে ভাবছেন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।
এক কথায় উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে সেখানে।অঞ্চলটিতে তৈরী পোশাক কারখানার একটি বড় প্রাণকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ৩০ হাজার একর জায়গার সঙ্গে আরো ১৩ হাজার একর জায়গা সংযোজনের উদ্যোগ নিয়েছে। বেপজা’র ব্যবস্থাপক মো. শরীফুল বাশার জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পিত বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীতে সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে যুগসই বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা) সূত্রে জানা যায়, অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্যে বেপজা ২০১৭ সালের ১৮ মে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন (বেজা) এর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেপজা ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টরস্ সামিট ২০১৮-এ ভিডিও কনফারেন্সে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এ মিরসরাই বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য ৭৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদিত হয়।
বেজা সূত্রে জানা যায়, ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে চারটি সরকারি ও ছয়টি বেসরকারি। সরকারিগুলো হলো, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল, বাগেরহাটের মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও কক্সবাজারের সাবরাং পর্যটন অঞ্চল। বর্তমানে দেশের আটটি ইপিজেডে বাংলাদেশসহ ৩৮টি দেশের ৪৭৩টি কারখানা উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া বাস্তবায়নাধীন আছে আরো ১১১টি শিল্প-কারখানা। এসব কারখানায় বিনিয়োগ এসেছে ৫১৬ কোটি মার্কিন ডলার এবং এ পর্যন্ত কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশির। জাতীয় রপ্তানিতে দেশের ইপিজেডের অবদান প্রায় ১৮ শতাংশ।
তবে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে এক হাজার ৩০ হাজার একরের বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘিরে বিনিয়োগের নতুন স্বপ্ন বুনছে। সমুদ্র ঘেঁষে গড়ে ওঠা এ অর্থনৈতিক অঞ্চল বেপজার বাকি আট ইপিজেডের মোট আয়তনের প্রায় অর্ধেক। এ কারণে অন্য ইপিজেডের প্লটগুলোর তুলনায় বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্লটের আয়তন প্রায় দ্বিগুণ। অন্য ইপিজেডে যেখানে প্রতিটি প্লট দুই হাজার বর্গমিটার সেখানে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্লট হবে তিন হাজার ৬০০ বর্গমিটার। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি ৬১৫টি প্লটে ভাগ করা হবে।
প্রকল্পকে ভাঙন ও লবণাক্ততার কবল থেকে রক্ষা করতে উপকূলে বিস্তৃত বাঁধ দেওয়ার কাজ করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিডব্লিউডিবি)। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি সমুদ্রের পাশে হওয়ায় ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের চারপাশে গড়ে তোলা হচ্ছে ৩০ ফুট উচ্চতার বাঁধ। প্রকল্পের চারপাশে ডাইক (বাঁধ) নির্মাণ প্রায় প্রস্তুত। সমুদ্র উপকূল ঘেঁষে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, নৌবাহিনী ও চায়না হারবার কোম্পানি সাড়ে ২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘের মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করছে। অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (আরএইচডি) প্রকল্পে যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও সহজ করতে সড়ক নির্মাণ করছে। এছাড়া প্রকল্প এলাকার ভেতরে আরো ১০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করছে বিভাগটি। এরই মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে মিরসরাই ইপিজেড পর্যন্ত নির্মাণ হচ্ছে চার লেনের আরো ১০ কিলোমিটার শেখ হাসিনা এভিনিউ। কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংযুক্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের সঙ্গে।বঙ্গোপসাগর ঘেঁষে তৈরি করা অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে উৎপাদিত পণ্য সহজে আনা-নেওয়ার জন্য সেখানে একটি সমুদ্রবন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান। সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে। অন্যদিকে কারখানায় পানি সরবরাহের জন্য দুই একর জমিতে তৈরি করা হবে জলাধার।
এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩০০ থেকে ৩৫০টি বিভিন্ন ধরনের কারখানা গড়ে উঠবে। যেখানে বিনিয়োগ আসবে চার থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার। আর সম্ভাব্য কর্মসংস্থান ধরা হয়েছে পনেরো থেকে বিশ লাখ মানুষের। প্রকল্পটির ব্যাপকতা বোঝাতে ছোট্ট কয়েকটি তথ্য সংযোজন করা যেতে পারে। ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছর থেকে হিসাব করলে বেপজার বাকি আট ইপিজেডেই সব মিলিয়ে গত ৩৬ বছরে বিনিয়োগ এসেছে ৫ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। এই দীর্ঘ সময়ে সব ইপিজেড মিলিয়ে কর্মসংস্থান হয়েছে পাঁচ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের।
যতদূর চোখ যায়, শুধুই অর্থনৈতিক জোনের ভূমি! এমনকি দৃষ্টির সীমানা ছাড়িয়েও বিস্তৃত এ জোন। শনিবার বেপজার চেয়ারম্যানের উপস্থিতে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বড়তাকিয়া থেকে প্রকল্প এলাকায় যাওয়ার সময় আগের বেড়িবাঁধে উঠেই চোখে পড়ে মিরসরাই ইকোনমিক জোনের সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডের দক্ষিণ দিকেও রয়েছে অর্থনৈতিক জোনের সীমা যা পশ্চিমে সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই পয়েন্ট থেকে উত্তর দিকে প্রায় আধাঘণ্টা গাড়ি চালানোর পর প্রকল্পের প্রধান সাইট অফিসে পৌঁছানো যাবে। সেখানে থেকে আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হলে পাওয়া যাবে ফেনী নদী। সেই নদী পার হয়ে সোনাগাজী উপজেলার চরও রয়েছে এই ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’ অর্থনৈতিক জোনের আওতায়। বর্তমানে প্রায় ১৫টি কোম্পানি প্রকল্প এলাকায় নির্মাণকাজ শুরু করলেও পুরো এলাকায় এখন পর্যন্ত একমাত্র বহুতল ভবন বেজার নির্মাণাধীন প্রশাসনিক ভবন। পাঁচতলা এই ভবনটির ছাদে উঠে দেখা যায়, ফেনী নদীর মোহনার চর এবং নদীর অপর প্রান্তে সোনাগাজী উপজেলায় জেগে উঠা চরেও রয়েছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভূমি। অর্থাৎ, নদী, সাগর ও চর নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল।
প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের ভূমি অধিগ্রহণে প্রথম পর্যায়ে ২১ জনকে ৫ কোটি ১৪ লক্ষ, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ জনকে ৬ কোটি ২২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। আজ ১৩২ জনকে ২২ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হলো। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসনের সততা ও নিষ্ঠায় স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের জমির ন্যায্য মূল্যের চেয়ে তিনগুন বেশি টাকার চেক গ্রহণ করছেন। দেখলাম নূর হোসেন নামে এক লোক ১ কোটি ২ লক্ষ টাকার চেক পেয়েছেন। তার মনে কি আনন্দ। জিজ্ঞাসা করে দেখলাম তার জীবনে এত টাকার চেক সে দেখে নাই। অনেকেই চিন্তা করছেন এটাই শেষ নয়। ক্ষতিগ্রস্থদের আবাসন পল্লী করে দেবেন সরকার। ৪ শ পরিবারকে ৫ শতাংশ জমিতে ঘর করে দেওয়া হবে। সেখানে মসজিদ, স্কুল কলেজ কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা হবে।
বেপজার ব্যাবস্থাপক মো. শরীফুল বাশারের কাছে প্রকল্প বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলতে যে কি উৎসাহী। মনে হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এত বিশাল ও পরিকল্পিত শিল্পজোনের দায়িত্ব পালন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। তিনি বোঝাতে চান সরকার কি যে মহা উন্নয়ন কর্মকান্ড করছে যার কারনে দেশে চায়না ও জাপানের মত অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ দেশ এখানে বিনিয়োগে অতি উৎসাহী। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের জন্য গর্বের জায়গা। আমরা এই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধে অগ্রসরমান বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের নাগরিক।
২০১৫ সালে চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুন্ড ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ৩০ হাজার একর জমি নিয়ে পথচলা শুরু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর প্রতিষ্ঠার। এর মধ্যে ১৬ হাজার একর জমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশ ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষে দেওয়া হবে বলে জানান বেপজার ম্যানেজার মো. শরীফুল বাশার। এ প্রকল্পের কাজ ৫ বছর শেষ হতে চলছে। বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পিত এ শিল্পনগরীতে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে বিশ্বের নামকরা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কারখানা স্থাপন করবে। এর মাধ্যমে দেশের তরুণরা নিজেরাই উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের দেশের বেকার যুবকরা যাতে চাকরির তালাশ না করে। তবেই দেশ উন্নত হবে। আর দেশ উন্নত হলে আমরা সবাই ভালো থাকব।
পিআইডি ফিচার।