মা! কিভাবে চলে গেলে
কি করে ফেলে চলে গেলে
না ফেরার দেশে।
এইতো সে দিন তুমি ছিলে!
অপার এক অজানা বিষ্ময়ে
গুমরে গুমরে ওঠে মন ,
সিক্ত হয়, আদ্র হয়, ছল ছল নয়ন।
ছিলে তুমি সংসার আগলে
অন্নপূর্ণা বেশে, ছড়ানো পায়ে
পাতানো বিছানায় লেন্স মোড়ান দৃষ্টির আবেশে;
ত্রস্ত পায়ে কপাট খুলে তোমার চাবির তালে
আর হওয়ার নয় তোমার দেখা এ জীবনভালে।
দীপ জ্বালান সন্ধ্যা বেলায় বৌমা না এলে
বিপদ শঙ্কায় থাকতে তুমি উৎকন্ঠা মেলে।
চাঁদপানা মুখে বলতে তুমি, দেরি হল মা যে?
সদর যাওয়া, জ্যাম-ঝামেলা মায়ের মন কি বুঝে?
ভাবতে বসে তাল হারাই মা স্মৃতি ঝাঁপসা চোখ
দূর আকাশের তারায় তারায় খুঁজি তোমার মুখ।
যেথায় থাক ভালো থেকো! আশীষ দিও তুমি,
বিশ্ব মাঝে সকল মায়ের রাতুল চরণ চুমি।
ছিলে যখন ছানা পোনা সব আসত উম পেতে
আদর করতে স্নেহ দিতে অকৃত্রিম হাতে।
চাঁদের হাঁট ভাংলো যখন কেউ আসে না আর
আগের মত আর হাসে না তোমার সংসার।
ফেলে যাওয়া তোমার স্মৃতির করি রোমন্থন
ডুকরে ডুকরে কাঁদে মাগো ক্ষণে ক্ষণে মন।
তুমি ছিলে মাথার উপর বনস্পতির ছায়া
ঝড়-বৃষ্টি মোহ তাপে অন্নদা অভয়া।
দুর আকাশের চাঁদ তারাতে খুঁজব তোমার মুখ
খুঁজে পেলে ভুলে থাকব পার্থিব সব দুঃখ।।