চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সুহৃদ’র উদ্যোগে ‘রোজার মানবিক ও সামাজিক গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভা শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সিটির মুরাদপুরে এনসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মির্জা ইমতিয়াজ শাওনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন লেখক জাহেদ কায়সার, সংগঠক ইবনে জালাল, জলছবি সম্পাদক সৈকত শুভ্র অন্তু, লেখক সালাম সৌরভ, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমানুল্লাহ বাহার, সংগঠক আলী রশীদ, লেখক সংগঠক জুয়েল বড়ুয়া বাপ্পু, শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম সবুজ, সংগঠক সেলিম তালুকদার আকাশ, এসএম আরাফাতুল আলম ও কাজী রোকন, শ্রমিক নেতা জিয়াউর রহমান।
বক্তারা বলেন, ‘মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকাশে সহায়ক রমজান। ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রায় সব এবাদত বিশেষ করে রোজা মানবিক ও সামাজিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রমজানে বান্দার জন্য যেমন আধ্যাত্মিক শিক্ষা রয়েছে, তেমনি সামাজিক গুরুত্বও রয়েছে। রোজা পালনের মাধ্যমে ধনীরা গরিবের দুঃখ বুঝবে; ক্ষুধা-পিপাসার জ্বালা অনুভব করবে। বুঝতে পারবে অসহায় নিরন্ন মানুষের ও খাদ্যের সম্মান। মর্যাদা দিতে শিখবে ক্ষুধার্ত মানুষকে। উপলব্ধি করবে, কেন অন্নহীন গরিব মানুষ একমুঠো খাবারের জন্য অন্যের দ্বারে হাত পাতে। অনুধাবন করবে দুস্থ-গরিব লোকেরা ধনী হওয়ার লোভে নয়, সম্পদের নেশায় নয়, ভোগ বিলাসের মোহে নয়, শুধুই জীবন বাঁচানোর তাগিদে সবার অগোচরে দৃষ্টির আড়াল হলে সামান্য বাসি-ঝুটা খাবারের প্রতি হাত বাড়ায়। কেন গরিব মা তাকে খেতে দিলে নিজে না খেয়ে আঁচলে বেঁধে নেয় তার অভুক্ত সন্তানের জন্য। অনুভব করে ক্ষুধায় কাতর মানুষ কেন তার আত্মসম্মান বিসর্জন দেয়, মর্যাদা ভুলে যায়, মান-ইজ্জত বিকিয়ে দেয় খাবারের জন্য। তাদেরকে ঘৃণা ও উপেক্ষা নয়, তাদের জন্য ভালবাসা ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘রমজানের এ সামাজিক তাৎপর্য যদি কাজে লাগানো যায়, তাহলে ব্যক্তি জীবন, সমাজ জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে অস্থিরতা, ঘুষ-দুর্নীতি, চরিত্রহীনতা, মিথ্যা বলা, পশুত্ব দূর করা সম্ভব। এ টুকু অনুভূতি জাগ্রত হওয়াই রোজা ও রমজানের বড় শিক্ষা। যা একজন মানুষকে বদলে দেয়ার পাশাপাশি গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রকে কল্যাণমুখী করে তুলবে।
প্রেস বার্তা