চট্টগ্রাম: স্বচ্ছভাবে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের দালালদের কাছ থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
তিনি দালালদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রতিজ্ঞা করেছেন। এছাড়া তিনি ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের ভোগান্তি লাঘব পূর্বক অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাইরে এলএ হেল্প ডেস্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন। এ হেল্প ডেস্ক বিনামূল্যে সরকারি ফি প্রদান সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে দালালদের দৌরাত্ম্য হ্রাস করবে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নিজ দপ্তরে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এ সব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ‘মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন’ এবং ‘মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষতিপুরণের চেক বিতরণ করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা করেন। তিনি স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করার জন্য যে কোন অভিযোগ ব্যক্তিগতভাবে প্রতিকার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ক্ষতিগ্রস্তরা ভূমি অধিগ্রহণের জটিল পদ্ধতির সহজ ও সরল পদ্ধতি প্রনয়ণ করে দীর্ঘ সূত্রিতার আশু সমাধানের আশা প্রকাশ করেন। এ জন্য তারা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানান।
ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য কেউ কোন প্রকারের টাকা দাবি করেছেন বা করে থাকলে, তা সরাসরি জেলা প্রশাসকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি ক্ষতিপূরণের আবেদনসহ সরাসরি আমাদের কাছে আসতে পারেন এবং সমস্যার কথা বলতে পারেন। কোন দালাল বা তৃতীয় পক্ষ না ধরে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি জমির প্রয়োজনীয় সব উপযুক্ত কাগজপত্রসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখায় যোগাযোগ করলে অতি সহজে স্বল্প সময়ে ক্ষতিপূরণ পাবেন।’
উল্লেখ্য, ক্ষতিগ্রস্থ মোট ৬১ জনের মধ্যে মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন প্রকল্পে আট কোটি চার লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ৯৮টি এলএ চেক, জিটিসিএল, আনোয়ারা, বাশঁখালী, সীতাকুন্ড গ্যাস লাইন স্থাপন প্রকল্পের ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, রাংগুনিয়া সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাত লাখ দুই হাজার ২৫৪ টাকাসহ মোট আট কোটি ৪৪ লাখ ৮৬ হাজার ১০০ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) বদিউল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দালালের খপ্পরে পড়ে যাতে কোন রকম হয়রানি না হয়ে ক্ষতিপূরণ নিতে পারেন, সে জন্য আমাদের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।