বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম: পুরো দেশের মত চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়েও সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহা পরিচালক ডাক্তার হাসান শাহরিয়ার কবীর।
বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার প্রতীক সেনের সভাপতিত্বে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ) ডাক্তার মো. সাখাওয়াত উল্লাহ ও বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা রনজিত কুমার শীল। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদফতরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমান এ কর্মসূচীর সূচনা করেন। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লাখ আইইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (দুই লাখ আইইউ) খাওয়ানো হচ্ছে। শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরি সুষম খারার দিতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সব ধরনের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের সব মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় ইতিমধ্যে আমরা যেভাবে করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছি, ঠিক জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নও অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’
হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘কোন শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে, সে লক্ষ্যে বিভাগের প্রত্যেক জেলা, মহানগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণকে জানান দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদ, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড, নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানেও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। সরকারী প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের যে কোন ধরনের অপপ্রচার ও গুজব রোধে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিশেষ টিমগুলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন মনিটরিং করছেন। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেও এ কার্যক্রম মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।