তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ না করে, ন্যুনতম সাক্ষাৎকার চেয়ে, তথ্য না চেয়ে, বেআইনীভাবে সরকারী নথিপত্রের ছবি তুলে সংবাদ সৃষ্টি করা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নয়, পরিকল্পিতভাবে চমক সৃষ্টি করা।
বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা, সবই গৌণ হয়ে যায়, যখন বড়সড় মিডিয়া হাউসের নাম সামনে আসে। অন্ধের মত অনেকে মনে করে, উনারা যাই বলবেন, তাই সত্য। বাস্তবতা হচ্ছে বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের কর্ম অপকর্মের সংবাদ এঁরা অনেকেই ছাপান না বা দেখান না। এটি আসলে এক প্রকার অলিখিত সমঝোতা।
সত্যিকারের জনস্বার্থ চাইলে, প্রভাবশালী কর্পোরেট স্বার্থকে কেন ছাড় দেয়া হয়?
আমরা চাই, সরকার প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের অনিয়ম, দুর্নীতি, যেমনি স্বচ্ছতার প্রয়োজনে গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে, তেমনি গণ মাধ্যমের মালিক পক্ষ কর্পোরেট গ্রুপসমূহ, কর্তব্যরত সাংবাদিক ভাই বোন, এদেরও সবার জবাবদিহীতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এরাও সর্বসাধারণের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য প্রাপ্তি, কিভাবে জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা যায়, তা সাধারণের কাছে তুলে ধরবেন।
আমরা জানি, দুর্নীতি বাংলাদেশে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, এ চ্যালেঞ্জে গণ মাধ্যমের একটি টেকসই ভূমিকা দরকার, শুধুই সেন্সেশন দিয়ে টেকশই ভূমিকা তৈরি হবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে নিয়ে বা বাংলাদেশ সরকারের যে কোন প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে দেশের অনেকের অভিযোগ থাকতে পারে। আবার পাশাপাশি দেশের অনেক বৃহৎ বেসরকারি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মালিকানাধীন অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও জনগণের অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু আমরা তা প্রকাশিত হতে দেখি খুবই কম।
আসলে পক্ষ বিপক্ষ নয়, পরিস্কার হোক মূল ঘটনা।
লেখক: শিক্ষা উপ মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ফেসবুক পোস্ট