নিজস্ব প্রতিবেদক: অনিয়মের কারখানায় পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়ী বাজার। বেশি দামে পণ্য বিক্রি এবং ওজনে কারচুপিসহ নানাভাবে ক্রেতাদের ঠকিয়ে যাচ্ছেন এ বাজারের ব্যবসায়ীরা।
কাজীর দেউড়ী বাজারে সবজি ব্যবসায়ীরা সবজির দাম রাখছেন বেশি। মুল্য তালিকা ঝুলিয়ে প্রদর্শন করার কথা থাকলেও তারা তা মানছেন না। ওজনে কারচুপি করার বিষয়টিও নজরে এসেছে প্রশাসনের।
অভিযান চালিয়ে এ সব অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় কাজীর দেউড়ী বাজারেরর ১৫ জন সবজি ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অনিয়ম করে ধরা খেয়ে জরিমানা গুণতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ী মিজান মিয়া, রিমন আহমেদ, আবু জাফর, আজিজ মিয়া, হারাধন দত্ত, মো. জাহিদ, মো আলমগীর, আব্দুস সবুর, আজম আহমেদ, জয়নাল আবেদীন, নাসির মিয়া, মানিক মিয়া, মিল্টন মিয়া, শরীফ, মিন্টু।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক পরিচালিত এক অভিযানে এ বাজারের আরো অনেক অনিয়মের তথ্য সামনে এসেছে।
কাজীর দেউড়ী বাজারে সবজি ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছে মতো দামে সবজি বিক্রি করছেন। একই সবজি ভিন্ন দোকানে ভিন্ন দাম। মুল্য তালিকা টানানো বাধ্যতামূলক হলেও তারা তা পালন করেননি।
এমনকি আড়ত থেকে আনা সবজির ক্রয় রশিদ ভ্রাম্যমান আদালতকে দেখাতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। যার ফলে এ সব অনিয়মের কারণে তাদের জরিমানার আওতায় আনা হয়। দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজনে কারচুপির অভিযোগের সত্যতাও ভ্রাম্যমান আদালত।
ডিজিটাল নিক্তির মাধ্যমে ওজন মাপা হলেও সেখানেও বিভিন্ন কায়দায় ওজনে কম দেয়া হয়। অনেকের ডিজিটাল নিক্তি বিএসটিআই কর্তৃক সার্টিফাইড নয়।
এ ছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট জেরা করলে ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দোষারোপ করেন।
অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করেন, বাজার ভেদে সবজির দাম ভিন্ন, দামের ব্যবধানও অনেক বেশি। যেমন-এক কেজি মরিচের দাম এক দোকানে ১৫০ টাকা। অন্য দোকানে ২০০ টাকা। এক কেজি টমেটোর দাম ১০০ টাকা। অন্য দোকানে ১৪০ টাকা। যার ফলে ত্রেতারা ঠকছে। এ সব অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় ১৫ জন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।’
এ অভিযানে আরও ছিলেন বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক মুকুল মৃধা এবং ফিল্ড অফিসার আব্দুল মান্নান।