দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ছিলেন। পেশাগত দায়িত্ব শেষে অবশেষে চট্টগ্রাম ছাড়ছেন।
ব্যক্তিগত তদবিরে কখনো না গেলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বার বার যেতে হয়েছে। স্কুল কলেজের ভর্তি বানিজ্য, অনিয়ম, ও অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে যত বারই গিয়েছি প্রতিবারই সাড়া দিয়েছেন।
সাধারণ স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য দশটি বাসের দাবি করেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সে বাসও তিনি আনতে ভূমিকা রেখেছেন। স্কুল বাস ভাড়া পাঁচ টাকা রাখার দাবি করেছিলাম। সেটা করতে গিয়ে প্রচুর টাকা ভর্তুকি প্রয়োজন। এ টাকা সংস্থানে সরকারী বরাদ্দ না থাকলেও তিনি আমাদের দাবীমমি শুনে অতিরিক্ত এ ঘাটতি পূরণে (দুই বছরের জন্য) এক কোটি টাকার বেশি ডোনেশন এনে দিয়েছেন।
সর্বশেষ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আমরা যখন হালিশহরে করোনা আইসোলেশন সেন্টার স্খাপন করতে গেলাম- তখনও তিনি সহযোগিতা করেছেন।
তাই বিদায় বেলায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলাম। তিনি চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করলেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের মাধ্যমে সরকারের সাথে শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্র নেতাদের প্রশংসাও করলেন।
ভবিষ্যতে যেখানেই থাকবেন- চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় কাজ করার চেষ্টা করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। আমরাও চট্টগ্রামের বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সাফল্যমন্ডিত ভবিষ্যত কামনা করি।
ভবিষ্যতে প্রশাসনের আরও বড় দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রামে ফিরে আসবেন- এ আশবাদে বিদায় জানালাম। ভালো থাকবেন সব সময়।
লেখক: সাবেক সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ