চট্টগ্রামের প্রকৃত সঙ্গীত শিল্পীরা বড় মানসিক কষ্টে আছে। কথাটা এ কারণেই বললাম, যে হারে কোন গান বাজনা না শিখে শুদ্ধভাবে সা রে গা মাটাও না শিখে সারা গানে একটা সুর নোটে লাগে না- এমন শিল্পীরাও টিভিতে তালিকাভুক্ত হয়ে আবার বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে গান করে নিজেদের জাতীয় শিল্পী পরিচয় দিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর ফেইসবুক স্ট্যাটাস তো আছেই।
আজ এ গাইলাম কাল মাইক ফাটিয়ে দিলাম- এসব দেখে এত কষ্ট করে সাধনা করে যারা গান শিখেছে, তাদের মন মানসিকের অবস্থা কি হতে পারে? এ যদি হয় শিল্প সংস্কৃতির অবস্থা? আগামীতে কোন অভিভাবকরা ছেলে মেয়েদের গান শিখাতে উৎসাহিত হবে বলে মনে হয় না।
এর জন্য দায়ী কারা? আমাদের সমাজের কিছু শিক্ষিত নামের অযোগ্য ও অদক্ষ মুখোধারী মিথ্যাচারী সুবিধাবাদী নিজের ঢোল নিজে পিটায়, যাদের সঙ্গীতের কোন ধারনাই নেই, এ জগতের লোক নয় তারা যখন হয়ে যায় হর্তাকর্তা, তখনই এসব অসুররা সুরের রাজ্যে প্রবেশ করে সঙ্গীতের বারোটা বাজাচ্ছে। আর প্রকৃত সুরের মানুষেরা নীরবে কাঁদছে।
তাই সবিনয়ে অনুরোধ করব, আমাদের সরকারের যারা প্রতিনিধি আছেন, সেই সাথে সুশীল সমাজকেও বলব, আপনারাও এসব দিকগুলো বিবেচনায় রেখে কারো মিথ্যা আর তৈলমর্দন এ খুশি না হয়ে প্রকৃত শিল্পীদের মূল্যায়ন করার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়ে আমাদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখুন। না হয় আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের শিল্পীদের পথ অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করার মত হবে।
সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। সরকারি নির্দেশ মেনে চলুন, আমার এ লিখায কেউ যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
লেখক: সঙ্গীত শিল্পী, চট্টগ্রাম