চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির ৫৬ জন এজেন্ট এবং দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র পদপ্রার্থী ডাক্তার শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনের এক দিন আগে ৫৬ জন নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যেহেতু এজেন্টরা নির্বাচনের একটি অংশ, তাই নির্বাচনী এজেন্টদের ছাড়িয়ে আনতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছি।’
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে বিএনপির নেতাকর্মী ও এজেন্টদের গ্রেফতারের বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার বরাবর অভিযোগ জানানোর পর সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
‘নির্বাচন কমিশন গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আর যদি কমিশন এতে বিফল হয় তাহলে তাদের ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে আসা উচিত।’
শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘একটি নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনে অনুষ্ঠানের জন্য সাংবাদিক এবং মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। কালকের (২৭ জানুয়ারি) নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশে হয়, সে ব্যাপারে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
বিএনপির গ্রেফতারকৃত এজেন্ট ও নেতাকর্মীরা হলেন: কোতোয়ালী থানায় মো. ইলিয়াছ মিয়া, মো. শাহীন, আশ্রাফুল ইসলাম অনিক, মো. আলী, মোহাম্মদ কিবরিয়া, মো মামুন, মোহাম্মদ আনোয়ার, আব্দুর রাজ্জাক, মনজুর, নুর মোহাম্মদ, আমিনুর রহমান মিয়া, আবু নাছির সাজ্জাদ, আউনুর ইসলাম, শহীদুল রনি।
আকবর শাহ থানায় মো. বেলাল হোসেন, মো. মানিক, দোলেয়ার হোসেন কালা, আবু তাহের, মনির, গোলাপ হোসেন, রাসেল, রাব্বি, মো. শরীফ, তানবীর আলম রুবেল, শাহ আলম মনির চৌধুরী মুনমুন। বায়েজিদ থানায় জাবেদ ওমর, মনির খসরু, ইলিয়াছ, মহিন, জাহাঙ্গীর, মিজান, মনির হোসেন ভুট্টো, শাকিল, শহিদুল ইসলাম, সৈয়দ জয়নাল, মিলন, মাছুদ, লাবলু, রফিক, মইনু উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, রাতুল, মো. মামুন, মো. করিম, মাসুদ রানা। হালিশহর থানায় মো. মুরাদ, মনির হোসেন, মনিরুল ইসলাম। চান্দঁগাও থানায় মোশররফ হোসেন, ওসমান।
পাচঁলাইশ থানায় পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে মামুন খন্দকার, মো. হেলাল, কাজী সামশু, শোলকবহর ওর্য়াডের আবু সিদ্দিক। খুলশী থানায় জাহিদুল ইসলাম জাবেদ। বাকলিয়ায় থানা খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ সুজন, মকবুল হোসেন, রেজিয়া বেগম মুন্নি, এমদাদুল ইসলাম সাকিল,কাদের, লাগুন, মিন্টু,শামীম, এরশাদ, নবাব, তকি, রুদ্রর, হোসেন, বাছির আলী, মো. আইয়ূব, খোরশেদ। পাহাড়তলী থানায় মো. বেলাল, অপি, ওয়াহিদ। পতেঙ্গা থানায় কায়সার আলম, ইকবাল হোসেন, বখতেয়ার উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল হালিম (ডেভিড), সেলিম সরদার, আলী রাশেদ, আলী হোসেন, আবু, সায়দুজ্জামান রণি।
বন্দর থানায় মো. আসলাম, শামসুদ্দিন, আরমান শুভ, মো. ইসমাইল, মো. আব্বাস, আলী হোসেন মো. আবু, মো. দেওয়ান। ডবলমুরিং থানায় কাইয়ূম রিপন, জাহেদ হোসেন বাবু, জাহিদ হাসান বাবু, কাইয়ূম হোসেন রিপনসহ ইকবাল হোসেন, মো. আব্দুল হালিম সওদাগর, মো. মহসীন।
এছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির জাকির হোসেন, নূর মোহাম্মদ, আমিনুর রহমান মিয়া, আবু নাসের সাজ্জাদ, আইনুল ইসলাম জুয়েল, শহিদ উল্লাহ রণিসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
প্রেস বার্তা