চট্টগ্রাম: ২০২০ সালে চট্টগ্রাম জেলায় মোট যক্ষা রোগী শনাক্ত হয় ১৪ হাজার ১১৬ জন। তার মধ্যে ক্যাটাগরী-১ যক্ষা রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ২২৯ জন ও পূনঃ আক্রান্ত যক্ষা রোগীর সংখ্যা ৮৮৭ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় টিবি এক্সপার্ট ডাক্তার বিশাখা ঘোষ এ তথ্য জানিয়েছেন।
২৪ মার্চ (বুধবার) বিকালে চট্টগ্রাম সিটির আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বিশ্ব যক্ষা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি আরো জানান, প্রতি বছর প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় ফুসফুস আক্রান্ত জীবাণুযুক্ত নতুন যক্ষা রোগী শনাক্তকরণের হার ৬৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও চিকিৎসাপ্রাপ্ত রোগীদেও মধ্যে সাফল্যের হার ৯৬ শতাংশ।
সভায় এক প্রবন্ধে বিশাখা ঘোষ উল্লেখ করেছেন যে, চট্টগ্রাম নগরী-জেলায় ডটস্ কর্ণার রয়েছে ৯৮টি ও কফ পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে ৬৫টি। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষা রোগী শনাক্ত হয় ৮৭০ জন ও চিকিৎসায় সাফল্যের হার ৬৯ শতাংশ। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ডিআর-টিবি রোগীর সংখ্যা ১৭২ জন ও শনাক্তকরণের পরীক্ষাগার রয়েছে সাতটি। এগুলো হচ্ছে-আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গোলপাহাড় মোড়ের আইসিডিডিআরবি, অক্সিজেন, বন্দর ও বাকলিয়া এলাকার ব্র্যাক টিবি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
সভার আগে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিশ্ব যক্ষা দিবসের স্ট্যান্ডিং র্যালি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাক্তার হাসান শাহরিয়ার কবীর।
টিবি ক্লিনিকের কনসালট্যান্ট ডাক্তার মোস্তফা নুর মোর্শেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভািতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার সেখ ফজলে রাব্বি।