চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ক্লিয়ারি এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টেসের আট হাজার কর্মচারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল থেকে আর্থিক অনুদানের আবেদন করেছে চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ-২৩৪)। সংগঠনের সভাপতি একেএম এনায়েত উল্লা খোকন ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রণোদনা সহায়তার দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) পাঠানো ওই বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টম থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত আট হাজার কর্মচারী দিন-রাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-ঝঞ্জা উপেক্ষা করে দেশের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব আদায় ও চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্য খালাস এবং রপ্তানি পণ্য বোঝাই কাজ সম্পাদন করে দেশের অর্থনীতির কাজ সচল রাখার ক্ষেত্রে এক অনন্য গৌরবময় ভূমিকা পালন করে থাকেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, দেশের এ গুরুত্বপূর্ণ আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসা আট হাজার কর্মচারীরা বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কারণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক কাস্টম ও বন্দর খোলা রাখার কারণে এ আট হাজার কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত কাস্টম, বন্দরসহ বিভিন্ন অফডক ও ইপজেডগুলোতে আমদানি ও রপ্তানি কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্য আমাদের সাথে আমাদের পরিবারের সদস্যরাও আজ চরম ঝুঁকির মধ্যে দিন যাপন করছেন।’
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজের অংশীদার হিসাবে চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস কর্মচারীদের সরকার ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান দেয়ার মাধ্যমে আট হাজার কর্মচারী তথা তাদের পরিবারের ৫০ হাজার সদস্যের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানা।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুন বাবর বলেন, ‘করোনা মহামারীর এ সময়ের মধ্যেও সিএন্ডএফ এজেন্টস কর্মচারীরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন। সরকার বিভিন্ন পেশাজীবীসহ কর্মজীবীদের জন্য প্রণোদনা দিলেও সিএন্ডএফ এজেন্টস কর্মচারীরা কোন ধরনের প্রণোদনা সহায়তা পায়নি। আমরা সরকারের কাছে সিএন্ডএফ কর্মচারীদের প্রণোদনা সহায়তার আবেদন করেছি। আশা করছি, সরকার প্রণোদনা সহায়তার মাধ্যমে সিএন্ডএফ এজেন্টস কর্মচারীদের পাশে দাঁড়াবে।’
নিউজ রিলিজ