পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত পেরুর প্রধান মন্ত্রী হেক্টর ভলার পিন্টোকে বরখাস্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলো। ২০১৬ সালে তিনি পারিবারিক সহিংসতায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন- এমন তথ্য প্রকাশ পাওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষাপটে নিয়োগ দেয়ার মাত্র তিন দিন পর তাকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। খবর এএফপির।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পেদ্রো কাস্টিলো বলেন, ‘আমি মন্ত্রিপরিষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এর অর্থ প্রধানমন্ত্রী হেক্টর ভলার পিন্টো বাদ।
বামপন্থী কাস্টিলো টেলিভিশনে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে এ পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। তবে ওই ভাষণে তিনি ভলার পিন্টোর নাম উল্লেখ করেননি।
বিরোধী দল এবং এমন কি কয়েকজন কেবিনেট মন্ত্রি সরকারে ভলার পিন্টোকে রাখার ব্যাপারে হাত উপরে উঠান।
প্রেসিডেন্ট নতুন মন্ত্রিপরিষদের নাম ঘোষণা করার কথা বলায়, ছয় মাস আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি হবে তার চতুর্থ মন্ত্রিপরিষদ গঠন।
২০১৬ সালে তার স্ত্রী ও ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে পারিবারিক সহিংসতার কথা তাকে জানান। বিষয়টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ায় ৬২ বছর বয়সী ভলার পিন্টো বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রথম চাপের মুখে পড়েন।
প্রেসিডেন্ট তাকে বরখাস্ত করার আগে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কংগ্রেস স্পিকার প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।
তিন মন্ত্রী তাকে চ্যালেঞ্জও করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী সেজার লন্ডা টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ‘পাবলিক সার্ভিস কর্মকর্তারা এ ধরনের অভিযোগ থেকে মুক্ত।’
ভলার পিন্টো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর প্রত্যাখান করে বলেন, তিনি ‘অপব্যবহার’ করেননি। তিনি আরো বলেন, ‘পারিবারিক সহিংসতায় তিনি কখনো অপরাধী ছিলেন না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘অনাস্থা পদক্ষেপ কংগ্রেসে পাস না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার পদে থাকবেন।’