ঢাকাবুধবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পারস্পারিক সহমর্মিতা ডিভোর্সের হার কমাতে পারে

চট্টগ্রাম
মার্চ ১২, ২০২৩ ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম: সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে শনিবার (১১ মার্চ) সকালে সিটির আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কনফারেন্স হলে ‘বিবাহ বিচ্ছেদ রোধে সচেতনতা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন।

দিলরুবা খানম ছুটি ও আবছার উদ্দিন অলির সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন মানবপাচার ট্রাইবুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের বিচারক ফেরদৌস আরা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান ভূঁঞা, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা, চবির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজনিন সরকার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চৌধুরী ফরিদ, এডভোকেট রোকসানা আক্তার, সাবেক কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, লেখক ও কলামিস্ট নেছার আহমদ খান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পড়েন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল। সমাপনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা রাসেল, আব্দুল মান্নান, ইউসুফ খান, মো. আজিজুর রহমান, স্বপন কান্তি নাথ, এডভোকেট বিবি আয়েশা, মোরশেদ আলম, জাকিয়া জাহান নিপু, সালমা বেগম, মিজানুর রহমান বাপ্পী, আসিবুর রহমান, জাহিদুল করিম বাপ্পী, মোহাম্মদ আইয়ুব, শান্তা বাসার।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, ‘বিবাহ বিচ্ছেদ একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বেড়েই চলেছে, তা নিয়ে ভাবা প্রয়োজন। ফুটফুটে সন্তান, সুন্দর সংসার, দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন, এক সময়ের মধুর সম্পের্কের স্মৃতি কোন কিছুই বিবাহ বিচ্ছেদকে আটকাতে পারছে না। সংসারে শিশু সন্তান থাকা অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাকের ঘটনা সন্তানটির শিশু অবস্থায়ই অভিভাবক শূন্য হয়ে পরে। এতে করে সে প্রতিকূল অবস্থায় বেড়ে উঠে। পরবর্তী অপরাধী হয়ে সমাজের বেড়ে উঠার আশংকা থেকে যাই। ডিভোর্সের কারণ হিসেবে জানা যায়, আগের চেয়ে নারীরা সাবলম্বী, স্বাধীন মনোভাব, নারীদের উচ্চ বেতনে চাকরি, আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা, নির্যাতন সহ্য না করা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইন্টারনেটের আসক্তি তালাকের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আর এ সমস্যার থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে। একে অপরের প্রতি মায়া, মমতা, ভালবাসা ও বৈষম্য দূর করতে হবে। সবচেয়ে যে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে, সেটি হল একজনের প্রতি আরেজনের সন্দেহ প্রবণতা কমাতে হবে। পারস্পারিক সহমর্মিতা ডিভোর্সের হার কমাতে পারে।’

Facebook Comments Box