নারী-পুরুষের সম্মিলিত অবদান, উদ্যোগ ও ত্যাগের মাধ্যমেই পরিবার, সমাজ ও সভ্যতার বিকাশ।
সৃষ্টির আদিকাল থেকে এ ধারা অব্যাহত থাকলেও কালক্রমে নারী ও পুরুষের লিঙ্গের বিভাজনকে কেন্দ্র করে পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থার প্রচলন এবং এরই ধারাবাহিকতায় নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতার সূচনা হয়। যা বিশ্বব্যাপী প্রকট আকার ধারণ করে। যে কারণে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য রোধ করতে অর্থাৎ ‘নারীর অধিকার মানবাধিকার’ প্রতিষ্ঠা জরুরি হয়ে পড়ে। ফলে সামাজিক সুশাসন, সর্বজনীন মানবতা বা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসাবে উঠে আসে নারীর প্রতি সব বৈষম্য ও সহিংসতা নিরসন করে নারী-পুরুষের সমতা অর্জন। যা বৈশ্বিক সংগ্রামে রূপ নেয়।
তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বেইজিং ঘোষণায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসন মূল লক্ষ্য থাকলেও তার বাস্তবায়ন ছিল সবচেয়ে দুর্বল।
অন্য দিকে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের মূল ভিত্তি লিঙ্গ বৈষম্য নির্মূল করে নারী-পুরুষের সক্ষমতার পূর্ণ বিকাশ ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হলেও করোনা ভাইরাস আমাদের অর্জনের দুর্বলতাগুলো বুঝিয়ে দিলো। দেখিয়ে দিল লিঙ্গ বৈষম্য ও সহিসংতার মূল বাতিঘর নারী-শিশু, বালক-বালিকাসহ সবার নিজ আবাসস্থল, যা মানুষের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হিসেবে ধরে নেয়া হয়।
আর্টিকেল নাইনটিন মানবাধিকার সংরক্ষণ, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।
সংস্থাটি বিশ্বাস করে, ‘লিঙ্গ সমতা বলতে শুধুমাত্র নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা নয়। নারী, পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, বালক-বালিকা থেকে শুরু করে ধর্ম, বর্ণ ভেদে সব মানুষের সমতা।
তাই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে সব মানুষের সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপন অর্থাৎ মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ‘বেইজিং ঘোষণার’ ২৫ বছরে নারীর অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে আর্টিকেল নাইনটিন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে এ ওয়েবিনার কাল ২৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি