শুভ জন্মদিন ‘ন্যাচারাল স্টার নানি’। কলেজের দিনগুলোতে প্রচুর মুভি দেখতো নানি… এডিক্টেড যাকে বলে! উপভোগই করত না শুধু… একটু খুঁতিয়ে খুঁতিয়ে দেখত। কেননা ডিরেক্টর হওয়ার স্বপ্ন বাসা বেঁধেছিলো তার মনে। ‘মানি রত্মাম’ ছিল তার প্রিয় ডিরেক্টর কিংবা আইডলও বলা যেতে পারে। যার সিনেমা তার স্বপ্নকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করত…
অনিল নাম করে একজন প্রযোজক ছিল, যে নানির দূর সম্পর্কের আত্মীয়। বাপু নামের এক ডিরেক্টরের সাথে তার একটা মুভির কাজ চলছিল তখন৷ সেটাতে নানিকে যোগ করে ‘ক্ল্যাপ ডিরেক্টর’ হিসেবে। তবে এর ফলে নানির একটু চেনা জানা হয়ে যায়। এরপর এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কয়েকটা মুভিতে কাজ করে। যার মধ্যে ‘ধী’ (২০০৭) অন্যতম, যেটা ‘খোকাবাবু’ নামে রিমেক হয়েছে কলকাতায়। যা হোক, নানির লক্ষ্য ছিল ডিরেক্টর হওয়া। তাই সে একটা স্ক্রিপ্ট লিখতে থাকে নিজে ডিরেক্ট করার জন্য।
নন্দিনী রেড্ডি নামে নানির এক বন্ধু ছিল, যার পেশা ছিলো রেডিও জকি। সে নানিকে আরজের চাকরি অফার করে তখন। সপ্তাহে মাত্র একদিন তার কাজ! তাই নানিও চাকরির অফার গ্রহণ করে এবং ‘নন স্টপ নানি’ নামে একটা শো হোস্ট করে এক বছর। ডিরেক্টর হওয়ার স্বপ্ন বা প্রচেষ্টা ছিলই তার মনে… এর মধ্যে নন্দিনী নানিকে নিয়ে একটা বিজ্ঞাপন বানায়। যেটা আবার নজরে আসে ডিরেক্টর ‘মোহন কৃষ্ণা ইন্দ্রাগান্তির… আর নানিকে তার একটা মুভিতে লীড রোলের অফার করে। নানি একটু ভাবনায় পড়ে যায়! পরিবারের সাথে আলাপ করে এবং সিদ্ধান্ত আসে যে, ‘এ সুযোগ ছাড়লে হয়ত অভিনয়ের সুযোগ আর নাও আসতে পারে! আর সুযোগটা নিলে হয়ত ডিরেক্টর হওয়ার পথও সহজ হয়ে যেতে পারে৷’ মানে তখনও নানির স্বপ্ন ছিল ডিরেক্টরই হবে! যদিও পরে আর সেটা হয়নি। কেননা হিরো হওয়ার সুযোগ নেয়… আর শুরুতেই সাফল্য আসে।
নানীর প্রথম মুভি আস্তা চাম্মা (২০০৮) ব্যবসায়িক, ক্রিটিক্যালি সব দিক থেকে সফলতা পায়। স্বাভাবিকভাবেই আরো মুভির অফার পেতে থাকে। এবং গ্রহণও করে… মাঝেমধ্যে ব্যর্থ হলেও অধিকাংশতেই সাফল্য পায় আর এভাবেই ডিরেক্টর হওয়ার স্বপ্নটা চাপা পড়ে যায়, অভিনয় দিয়েই মানুষের মন জয় করতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
এসিট্যান্ট ডিরেক্টর, আরজে থেকে এখন অভিনেতা, টিভি হোস্ট, প্রযোজক। ‘নবীন বাবু ঘান্টা’ থেকে তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির ‘ন্যাচারাল স্টার নানি’! শুভ কামনা সব সময়… আমার অন্যতম প্রিয় অভিনেতা হয়ে আছেন, থাকবেন।
তথ্যসুত্র: ইন্টারনেট, ইন্টারভিউ