খুলনা: দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে দুই দশমিক তিন গিগাহার্জ ব্যান্ডের নতুন স্পেকট্রাম দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ফোরজি চালু করেছে বাংলালিংক। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা থেকে এ নতুন স্পেকট্রামের ব্যবহার শুরু হয়েছে। গত মার্চে অনুষ্ঠিত বিটিআরসির সর্বশেষ স্পেকট্রাম নিলাম থেকে নতুন স্পেকট্রাম নেয়া হয়।
খুলনায় আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে বাংলালিংকে চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস এ ঘোষণা দেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার।উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস ডিভিশনের কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, চিফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার হুসেইন তুরকার, ক্লাস্টার ডিরেক্টর এফএম শাহরিয়ার ওমর প্রিন্স।
নতুন স্পেকট্রামের ফলে বাংলালিংক গ্রাহকরা দ্রুততর ইন্টারনেট ও আরো উন্নত ডিজিটাল সেবা পাবেন। টাইম ডিভিশন ডুপ্লেক্স (টিডিটি) প্রযুক্তির মাধ্যমে এ স্পেকট্রাম ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলালিংক গত আট মাসে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে তিন হাজারটি নতুন বেইজ ট্রান্সসিভার স্টেশনও (বিটিএস) স্থাপন করেছে।
চলতি বছরে বিটিআরসির কাছ থেকে ৪০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম গ্রহণের ফলে বাংলালিংকের স্পেকট্রামের পরিমাণ ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ মেগাহার্জে উন্নীত হয়। গ্রাহক প্রতি স্পেকট্রামের হিসেবে বর্তমানে দেশের শীর্ষ বেসরকারি অপারেটর বাংলালিংক।
এছাড়াও ধারাবাহিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে বাংলালিংক ২০২২ এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি টানা তিন বছর দেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলার স্বীকৃতিও পেয়েছে বাংলালিংক।
শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ‘বাংলালিংক যেভাবে দেশব্যাপী সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, তা দেখে আমি আনন্দিত। এ ধরনের উদ্যোগ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি আশা করি, বাংলালিংক ভবিষ্যতেও খুলনার মত অন্যান্য অঞ্চলগুলির উপর লক্ষ্য রাখবে।’
এরিক অস বলেন, ‘খুলনায় নতুন স্পেকট্রাম দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ফোরজি চালুর উদ্যোগ এ অঞ্চলের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির একটি প্রতিফলন। খুলনা বাংলালিংকের কাছে সবসময়ই বিশেষ একটি মার্কেট। আজকের এ উদ্যোগে বাংলালিংককে পুরো দেশে বিস্তৃত একটি অপারেটর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যও প্রতিফলিত হয়। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুততর ইন্টারনেট ও মানসম্মত ডিজিটাল সেবা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলালিংক গ্রাহকদের আরো উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে ও আমাদের অগ্রযাত্রার অংশ হতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।’
প্রেস কনফারেন্স শেষে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বাংলালিংকের ভ্রাম্যমাণ এক্সপেরিয়েন্স জোন উদ্বোধন ও কাস্টমার কেয়ার সেন্টার পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলালিংকের দ্রুততম মোবাইল ইন্টারনেট ও ডিজিটাল সার্ভিস টফি, হেলথ হাব ও অ্যাপলিংক ব্যবহার করে দেখেন।