ঠাঁই দাড়িয়ে পাহাড়গুলো কি যেন বলতে চায়। কি যেন বুঝাতে চায় নুনতা জলের মহাসাগরটি। কি যেন নিয়ে লোকচক্ষুর অগোচরে খেলছে আকাশ চুম্বি ঝাউ গাছগুলো। কোলাহল নয়, মানবহীনও নয় বটে। কিছু লোক তাদের মত করে তারা চলছে। চোখে নেই তাদের কোন উদ্বেগ। নেই কোন শঙ্কা। তবে মহাসাগরের গভীর জলের মুক্তা খুঁজে পেতে হলে যেভাবে একাগ্রহে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আপনাকে সাগরের জল অনুধাবন করতে হবে, তেমনি এখানকার কিছু মানুষের স্মৃতিপলক আপনি যদি উপলব্ধি করতে পারেন, তাহলে সত্যি সত্যি কিছু একটা হয়তো আপনার বুঝে উঠতে সহজাত হবে।
উদ্ভুত কিছু মানুষ। আঁলো আধাঁরহীন কেমন জানি ভৌতিক একটি পরিবেশ। চারপাশ ঝোপ জঙ্গলে আবদ্ধ। জায়গাটির নাম শ্যামনগর (ছদ্ম নাম)। নামের শেষে নগর থাকলেও এ জায়গাটিতে নগরের তেমন একটা চিহ্ন লক্ষ্য করা যায় না। পাহাড়, ঝর্ণা, ঝোপ-জঙ্গল, আঁকা বাঁকা সরু রাস্তা, গ্রামীণ মেঠোপথ জায়গাটির দক্ষিণ পশ্চিমে রয়েছে বিস্তৃত একটি নদী। এক সময় জেলে ছাড়া তেমন কোন পথিকের এখানে দর্শন হত না। এখানকার মানুষের পেশা ছিল মৎস্য শিকার। কারণ জেলে ছাড়া অন্য কোন পেশার মানুষ এখানে তেমন একটা লক্ষ্য করা যেত না। এ অঞ্চলের বর্তমান অবস্থা পরেই বলছি।
জেলেদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কিছু কিছু দোকান-পাট। ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় মানুষের আনাগোনা। তবে জায়গাটির আশেপাশে নগরায়নের লেশ মাত্র নেই বললে চলে। নুনতা জলের শীতল হাওয়া, ঝোপ জঙ্গলে বিস্তৃত জায়গাটির মধ্যে সূর্যের কিরণ তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না। নিস্তব্ধ জায়গাটি এক পর্যায়ে ধীরে ধীরে কিছু মানুষের কু-দৃষ্টির আওতায় চলে আসে। অঞ্চলটিকে তারা নিশি পল্লীর অবৈধ যৌন কর্মের জন্য নিরাপদ আবাস্থল হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। এভাবে এক পর্যায়ে এখানে গড়ে উঠে পতিতালয়। চলে অবাধ যৌনাচার।
এখানকার কিছু মানুষ দেহ ব্যবসায়কে প্রফেশনাল হিসেবে বেছে নেয়। গ্রামীণ শহরের সাধারণ মানুষের এ দিকে দৃষ্টি না থাকলেও মানুষ রূপী অমানুষগুলো তাদের যৌন চাহিদা মেঠাতে এখানে তাদের পদচারণা লক্ষ্য করা যায়। এ মানুষ রূপী হিংস্র পশুগুলো গ্রামের সহজ সরল মেয়েদের নয়-ছয় বুঝিয়ে এ দেহ ব্যবসায়ে নিয়ে আসে। এভাবে চলতে চলতে অঞ্চলটি এক পর্যায়ে পতিতা পল্লীতে পরিণত হয়। কেউ জৈবিক চাহিদা মিঠাতে আবার অভাবের দরজায় তালা লাগাতে রাত দিন দেহ ব্যবসায়ে নিয়োজিত এ অঞ্চলের পতিতারা।
এর মাঝে যৌন পল্লীতে হঠাৎ ভয় আতংক সৃষ্টি হয়। নিজেদের চাহিদা মেঠাতে পথ প্রান্তর থেকে যুবকেরা রাঁতের আধাঁরে পল্লীতে আসত, তখন তাদের চাহিদা মত পতিতাদের সাথে তারা চুক্তিবদ্ধ হত। হঠাৎ একদিন! পল্লীতে ঘটে গেল অন্য এক কান্ড। রজনীর মাঝপথে পল্লীতে এল সুদর্শন এক যুবক। হয়তো কোন কোটিপতি বাবার ছেলে হবে। এসেই যুবকটি পল্লীর সব চেয়ে সুন্দর রমণীকে চুক্তিবদ্ধ করল। তখন রাত ১২টা পেরিয়ে একটা ছুঁই ছুঁই হবে। মূল রাস্তা থেকে তারা সরু রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলল। মেয়েটি ছেলেটির সামনে আর ছেলেটি মেয়েটির পিছনে পিছনে। রূপ নগরের মেয়েটির দেহের কোন তুলনা নেই। লম্বা চওড়া দেহ, মোহনীয় চুলগুলো ছেলেটিকে প্রবল আকর্ষণে অস্থির করে তুলল।
মাঝে মাঝে মেয়েটির পিছনে তাকিয়ে গোলাপী ঠোঁটের হাসি, তার লাজুক চেহেরা, টানা টানা মৃগ হরিণীর ন্যায় চোখগুলো, মেয়েটির প্রতি ছেলেটির আর তর সইছে না। মেয়েটির প্রতি প্রবল আগ্রহ, অপেক্ষার পালা-বদলে এক সময় মেয়েটি চোখের ইশরায় বলল, এখানেই আস। ছেলেটির মন আনন্দের উল্লাসে মেয়েটির ইশরায় সারা দিল। মেয়েটি চট করে ঢুকে পড়ল।
(চলবে)