চট্টগ্রাম: দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সৈয়দ সানোয়ার আলি সানু জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। সে স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। দেশের মানুষ আজও গণতন্ত্রহীন, নিরাপত্তাহীন, বাক স্বাধীনতাহীন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা চট্টগ্রামবাসী আজীবন মনে রাখবে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বাদে যোহর নগরীর এনায়েত বাজার শাহী জামে মনজিদে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সানোয়ার আলী সানুর পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকীর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এ সব কথা বলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
আবুল হাশেম বক্কর আরো বলেন, ‘সানোয়ার আলি দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন, পরবর্তীতে দেশ গঠনে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। দেশ, জাতি ও জণগনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও কল্যাণে তার নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং কর্তব্যপরায়নতায় তিনি ছিলেন অঙ্গীকারবদ্ধ।’
‘চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে তার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল। রাজনীতির পাশাপাশি শতদল ক্লাবের মতো একটি ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠনের কর্ণধার ছিলেন তিনি। একজন সদালাপী ও স্পষ্টবাদী মানুষ হিসাবে তিনি সবার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।’ বলেন আবুল হাসেম।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সানোয়ার আলী সানু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলান মীর মো. রাসেদুল আলম। মিলাদ মহফিল শেষে বায়তুল ফোরকান এতিমখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, নগর বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু মুছা, এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহেদ উল্লাহ রাসেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সৈয়দ সানোয়ার আলী সানু স্মৃতি সংসদের সভাপতি আবু মোহাম্মদ মহসীন চৌধুরী, স্মৃতি সংসদের দিদারুল ইসলাম দিদার, আব্দুল্লাহ আল হারুন, এফএএফ রুমী, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, মো. রায়হান আলম, ওমর ফারুক, নুর হোসেন, মো. ওয়াসিম, মো. সাজ্জাদ হোসেন খাঁন, মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, মীর মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, মো. হানিফ রানা প্রমূখ।
বিজ্ঞপ্তি