‘মাতৃভাষা মধুর হোক সর্ব আঙিনায়’ এ স্লোগানে মুখরিত হয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের উদ্যোগে ত্রিদেশীয় ‘বঙ্গ ইতিহাস ঐতিহ্য আন্তর্জাতিক সম্মিলন-১৪২৯’ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেছেন, ‘প্রাচীন বঙ্গদেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, আদিজাতি ও নৃ-গোষ্ঠীর ইতিহাস পৃথিবীবাসীর কাছে নতুন করে তুলে ধরতে হবে। প্রাচীন সময় থেকে সমৃদ্ধ জাতি, গোষ্ঠী ও আমাদের যে ঐতিহ্য সেগুলো সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করহে হবে। এ জন্য লেখক, গবেষক, কবি, সাহিত্যিক, ঐতিহ্য সংরক্ষক ও সংগ্রাহকদের ভূমিকা রাখতে হবে।’
বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের সভাপতি লেখক লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ইতিহাসবেত্তা সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মিলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ও সচিব, কথাসাহিত্যিক মাজেদা রফিকুন নেছা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালক ডাক্তার উত্তম কুমার বড়ুয়া।
আলোচনায় অংশ নেন পশ্চিবঙ্গের লেখক লালন গবেষক কবি বরুণ চক্রবর্তী, ইতিহাসবিদ ও মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল করিম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ কবি জহুরুল ইসলাম দুলাল, ভারতের কবি আশুতোষ চক্রবর্তী, নেপালের কবি ও সাহিত্যিক জনার্দন বাড়ই, আইনবিদ মুকুল কান্তি দেব, সাংবাদিক রুখসানা জামান সানু, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক, পুথি পাঠক হাসিনা মমতাজ, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের কবি আশুতোষ চক্রবর্ত্তী, কবি ও সমাজকর্মী গৌতম সেনগুপ্ত, কবি সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গীত শিল্পী সুপর্না চন্দ সরকার, সঙ্গীত শিল্পী মিতা চক্রবর্ত্তী, সঙ্গীত শিল্পী সুমন বড়াল, সঙ্গীত শিল্পী নমিতা সেন, আবৃত্তি শিল্পী রঞ্জনা কর্মকার, কবি দীপশিখা চৌধুরী, চিন্ময় রায় চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আজাদ পাটোয়ারী, কবি ও গীতিকার অরূপ কুমার বড়ুয়া, কবি স্মরনীকা চৌধুরী, কবি নাজমুল হক শামীম, কবি দেলোয়ার হোসেন মানিক, সঙ্গীত শিল্পী উদয়ন বড়ুয়া ঝুন্টু, কবি দীনেশ চন্দ্র মন্ডল, মাসুম আহমেদ রানা, মানবাধিকার সংগঠক ও কবি সৈয়দ খায়রুল আলম, ভাষা গবেষক ম আ আ মোক্তাদীর, মিতালী বড়ুয়া, উজ্জ্বল বড়ুয়া বাসু, কবি ওয়াহিদ মুরাদ।
সম্মিলনে বক্তারা ওপার বাংলা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আঞ্চলিক ভাষাগুলো টিকেয়ে রাখার জন্য দুই দেশে আঞ্চলিক ভাষা ইনিস্টিউট ও গবেষণাগার স্থাপনের দাবী করেন।
সম্মিলনের শুরুতে মাতৃভাষা বাংলার জন্য শহীদদের আত্মদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তিন দেশের জাতীয় সঙ্গীত পাঠ করে সম্মান দেখানো হয়।