ঢাকা: গঙ্গা পানিবন্টন চুক্তি নবায়ন ও তিস্তাসহ সব যৌথ নদীর অববাহিকা ভিত্তিক সমন্বিত আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি)।
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি অবাহিকা ভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনার যে আহবান জানিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলেন, ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই নদীকে জীবিত রাখা ও তীরবর্তী সব জনগোষ্টির জন্য পানির সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব।’
ফারাক্কা লংমার্চের ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার (১৫ মে) দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে আইএফসি নেতারা এ আহবান জানান।
১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এ লংমার্চের আয়োজন করেছিলেন। সীমান্তের ১১ মাইল দূরে ফারাক্কা বাঁধ থেকে গঙ্গা নদীর একতরফা গতি পরিবর্তন করায় বাংলাদেশের নদী শুকিয়ে যে বিশাল পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেয়, ফারাক্কা লংমার্চ ছিল তার বিরুদ্ধে প্রথম সফল গনপ্রতিবাদ। এ লংমার্চ রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠ থেকে শুরু হয়ে চাপাই নবাগঞ্জের কানসাটে গিয়ে শেষ হয়। সব স্তরের হাজার হাজার মানুষ ১০০ মাইল দীর্ঘ এ লংমার্চে অংশ নেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘৪৬ বছর আগে আয়োজিত এ লংমার্চের যথার্থতা বিভিন্নভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিহার সরকারসহ ভারতের অনেকে ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। ভারতের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁধ নির্মাণ করে স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত করায় কাবেরী, সবরমাটি নদী শুকিয়ে গেছে ও গঙ্গানদীও একই ভাগ্য বরণ করতে চলেছে।’
আইএফসির নেতারা বলেন, ‘নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে তাকে উৎসমুখ থেকে সাগর পর্যন্ত প্রবাহমান রাখতে হবে।’
যৌথ বিবৃতিতে সই করেন আইএফসি নিউইয়র্কের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালু, মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান, আইএফসি বাংলাদেশের সভাপতি জসিম উদ্দিন আহমাদ, সিনিয়র সভাপতি এসআই খান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারী ও আইএফসি সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার।
পবা/এমএ