চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে তিন ব্যক্তির কবল থেকে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের দেড়শ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের যৌথ অভিযানে তিনটি ইট ভাটা উচ্ছেদ করা হয়।
এগুলো হলো- আকবর শাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলীর বেঁড়ী বাধ সংলগ্ন আক্তার কামালের মালিকানাধীন কেএমএল ব্রিকস, সীতাকুন্ডের লতিফ পুরে শহীদুল ইসলামের মালিকানাধীন এমআরএস ব্রিকস এবং জঙ্গল সলিম পুর সিডিএ লিংক রোডের মৃত আব্দুল হালিমের নামে আব্দুস সোবহান ব্রিকস (এএসবি)।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নূরী, চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জমির উদ্দিন, মহানগর কার্যালয়ের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরীন ফেরদৌসি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক অভিযানে অংশ নেন।
উচ্ছেদকৃত ইটভাটাগুলোর ডিলিং লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ছিল না। এমনকি বন উজাড় করে তৈরি করা হয়েছে এ সব ইট ভাটা। অভিযানে তিনটি ইট ভাটার প্রায় পাঁচ লাখ ইট, চিমনি, স্থাপনা, সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে, যার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।
জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, উত্তর কাট্টলীতে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের নিকটবর্তী প্রায় শতাধিক একর সরকারি খাস জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছিল কেএমএল ব্রিকস এবং এমআরএস ব্রিকস। ইট ভাটা দুটি উচ্ছেদের জন্য ২০১৩ সালে কার্যক্রম শুরু হলে অবৈধ দখলদারেরা হাইকোর্টে রীট দায়ের করে। এর কারণে এতোদিন সরকারি খাস জায়গাগুলো উদ্ধার করা যায় নি। সরকারি খাস জায়গায় অননুমোদিতভাবে গড়ে উঠা পরিবেশ বিনষ্টকারী ইট ভাটাগুলোর বিষয়ে সরকারের পক্ষে হাইকোর্টের নজরে আনলে জমির মালিকানা না থাকায় এবং ওই স্থানে সরকারি খাস জায়গায় ইটভাটা স্থাপনের যৌক্তিকতা না থাকায় ও পরিবেশ আইন বিরোধী হওয়ায় হাইকোর্টে দায়েরকৃত রীট খারিজ হয়। এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে এবং পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের যৌথ উদ্যোগে আজকের অভিযান চালানো হয়।