কক্সবাজার (৫ নভেম্বর, ২০২০): বাইশ দিন নিষেধাজ্ঞার পর বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) থেকে নদী ও সাগরে মাছ ধরা শুরু করেছে মৎসজীবী জেলেরা।
চট্টগ্রাম বিভাগে কক্সবাজার বিআইডব্লিইটিএ ঘাট থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ ধরার জন্য জেলেদের যাত্রা শুরু হয়।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান সরকারের নিষেধাজ্ঞা মান্য করে সহযোগিতা করায় জেলেদের ধন্যবাদ জানান।
দিন-রাত টহল রেখে জেলেদের মা ইলিশ ধরায় বিরত রাখতে সহযোগিতা করায় জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
এ সময় এসএম খালেকুজ্জামান বলেন, ‘জেলার কোথাও নৌযান বা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরার কোন দৃশ্য দেখা যায়নি। ২২ দিন ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরা থেকে বিরত থেকে জেলেরা যে ধৈর্য ধারণ করেছে, তার সুফল অচীরেই পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম জেলায়ও ব্যাপক গণসচেতনতা ও অভিযানের মধ্য দিয়ে ২২ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী স ম রেজাউল করিম চট্টগ্রামের এ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
এ অভিযান সম্পর্কে চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাবলী বলেন, ‘মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এটি একটি কার্যকর উদ্যোগ। জেলেরা বুঝতে পেরেছে যে, মা মাছকে ডিম ফুটাতে সময় দিতে হবে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ডিম ফুটার পাশাপাশি ঝাটকা ইলিশও বড় হওয়ার সুযোগ পেল। তাছাড়া অন্য মাছেরও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।’
এদিকে, জেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের মধ্য দিয়ে চাঁদপুরের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শেষ হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী চাঁদপুর থেকে এ অভিযান উদ্বোধন করেন। অভিযানে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ভ্রাম্যমান টিমের উপর আক্রমন করে একজন মৎস্য কর্মকর্তাসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থল, নৌ ও আকাশ পথে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে কয়েক কোটি মিটার জাল জব্দ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হয়।
চাঁদপুরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বলেন, ‘চাঁদপুরের ৯০ কিলোমিটার নদী পাহারায় জেলা মৎস্য বিভাগ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় বেশ তৎপর ছিল। সন্ত্রাসীদের আক্রমণ সত্বেও অভিযান থামানো হয় নি।’
সূত্র: তথ্য অধিদফতর