ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চিলমারীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে রেল সংযোগ চায় নেপাল

পরম বাংলাদেশ ডেস্ক
জানুয়ারি ৫, ২০২১ ২:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম: দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় সভা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্রা।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, তাজমীম মোস্তফা চৌধুরী ও সাকিফ আহমেদ সালাম, রাষ্ট্রদূতের সেক্রেটারী রিয়া সেট্রি উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশ্রা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ। উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোভিড মহামারীর আগে বাংলাদেশের কাছাকাছি ৭ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে নেপাল। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও তার সঠিক করা সম্ভব হয়নি।’

রাষ্ট্রদূত এ ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদী রোড ম্যাপ প্রণয়ন, আকাশ পথে বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধি, সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন, চিলমারীর মাধ্যমে রেল সংযোগ স্থাপন, নদী পথে ভারতের গঙ্গা হয়ে বাংলাদেশের পদ্মা নদী দিয়ে পণ্য পরিবহন, বর্ষা মৌসুমে পানি হতে উৎপন্ন বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা এবং শীত মৌসুমে একইভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা, গ্রীষ্মের সময় নেপালে উৎপাদিত সবজি, ফলমূল ইত্যাদি বাংলাদেশ কর্তৃক আমদানি ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হবে বলে মন্তব্য করেন।

এছাড়া পিপল টু পিপল যোগাযোগ বৃদ্ধি, কৃষি ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করে উভয় সরকার প্রদত্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সরবরাহ করা, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য নেপালকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ প্রদান এবং আকাশ পথে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সৈয়দপুর বিমান বন্দর ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্রা।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম আগামী ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য পিটিএ স্বাক্ষর উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

তবে কাঙ্খিত অগ্রগতি অর্জনে চেম্বার সভাপতি শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূরীকরণ, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজীকরণ, সীমান্তে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা, সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মিরসরাই ইকনোমিক জোনে নেপালী বিনিয়োগ আকর্ষণে রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করেন।

চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ ধর্মীয় পর্যটন ও পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ভ্রমণে নেপালী পর্যটকদের আহ্বান জানান।

মত বিনিময় শেষে রাষ্ট্রদূত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পারমানেন্ট এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন।

প্রেস নিউজ

Facebook Comments Box