চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহনগরীর ইপিজেড থানা এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্ররের মূল হোতা সুলতান আহম্মদকে (৪৫) চাঁদাবাজির অর্থসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম।
মঙ্গলবার (১১ মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর সিমেন্ট ক্রসিং মসজিদের দক্ষিণ পাশে আজিজ মিয়ার মায়ের দোয়া ফুডস হেভেন নামের দোকান থেকে তাকে আটকের পর গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৭ জানায়, মো. সুলতান আহম্মদ ফ্রি পোর্ট, হালিশহর, কলসী দিঘির পাড়, সিমেন্ট ক্রসিং, মাইলের মাথা এলাকার একজন শীর্ষ চাঁদাবাজ। তার নেতৃত্বে চাঁদাবাজ চক্রটি বিভিন্ন দোকান, ফুটপাত এবং পরিবহন সেক্টর ইত্যাদি থেকে বেশ কিছু দিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে। তার দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে না পারলে সে ও তার বাহিনী দোকানদারদের দোকান থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দিত। পরিবহন সেক্টরের মাইক্রোবাস, সিএনজি এবং ইজি বাইক চালকদের নিকট থেকে সে মাসোয়ারা ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করত। অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে আসলে র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে মো. নুরনবীর (৩৯) কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায়ের সাথে সাথে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
র্যাব-৭ আরো জানায়, সুলতান আহম্মদ দীর্ঘ দিন ধরে ইপিজেড থানা এলাকার বিভিন্ন সেক্টর হতে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছে। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের আগে সুলতান চাঁদাবাজির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ও চাঁদাবাজির জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে। এছাড়াও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার অন্য কোন পেশা না থাকলেও বর্তমানে সে চাঁদাবাজির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে। ঈদের আগে তার গ্রেফতারের খবরে ইপিজেড এলাকার দোকানদারসহ পরিবহন সেক্টরে লোকজন স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
আসামী সুলতানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগীর ইপিজেড থানায় ২০১১ সালে একটি মাদক মামলা এবং ২০১৩ সালে একই থানায় চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সুলতানের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় চাঁদাবাজির একটি মামলা করা হয়েছে।