চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটির যাতায়ত ব্যবস্থায় গতি আনতে মনোরেল চালুর প্রস্তাব নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে সাক্ষাত করেছেন চায়না প্রতিষ্ঠান উইহায় ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক এন্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ কোম্পানি লিমিটেড ও চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের একটি টিম।
বুধবার (১৯ মে) দুপুরে নগরীর টাইগার পাসের কর্পোরেশনের অস্থায়ী নগর ভবনে চায়না কোম্পানীর এ টিম সাক্ষাত করতে এলে মেয়র তাদেরকে স্বাগত জানান।
চসিকের মেয়র রেজাউল করিম ও চায়না কোম্পানি উইহায়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লি মেংয়ের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা উঠে আসে।
এ সময় মেয়র মনোরেল চালু করতে কত দিন সময় লাগতে পারে, আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ, অর্থের সংস্থান, মেট্রোরেল ও মনোরেলের মধ্যে পার্থক্যের বিষয় জানতে চান।
মেয়র রেজাউল করিমের প্রশ্নের জবাবে চায়না উইহায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লি মেং বলেন, ‘মনোরেল হল আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন। এর ব্যয় ও ব্যবস্থাপনা চায়না সহায়তায় হবে। মনোরেলের ক্ষেত্রে মেট্রোরেলের চেয়ে ৪০ শতাংশ অর্থের সাশ্রয় হবে। মনোরেলের জন্য ব্যাপক জায়গার প্রয়োজন হয় না এবং স্থাপনার মধ্যেও লাইনটি চালু করা যায়। অন্য দিকে, দুই-আড়াই বছরের মধ্যে মনোরেল স্থাপন করে চালু করা সম্ভব।’
মেয়র তাদের প্রস্তাবনা শুনে তা লিখিত আকারে জমা দেয়ার আহ্বান জানান।
মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ‘এর আগে নগরীতে মেট্রোরেলের প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নগরীর একে খান থেকে কর্ণফুলী ব্রীজ, কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত বিমান বন্দর, অক্সিজেন থেকে বিমান বন্দর, লালখান বাজার থেকে বিমান বন্দর- এ চারটি রুটের উপর জরিপ ও পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। এ দুটি প্রস্তাবনার উপর যাচাই-বাছাই করে জনসংখ্যার ঘনত্ব, সময় ও আর্থিক সাশ্রয় বিবেচনা ও যাতায়ত ব্যবস্থাকে টেকসই করতে যদি মনোরেল চালু করলে ভাল হয়, তবে তা অবশ্যই করা হবে।
এ সময় চায়না রেলওয়ে কোম্পাননির এরিখ, চসিকের প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. আব্দুল মান্নান, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, আশিকুল ইসলাম, সহকারি স্থপতি আব্দুল্লাহ ওমর, মেট্রোরেল প্রকল্পের ও কোদায়ারি ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনস্ট্রাকশন কোম্পানির প্রকৌশলী আবিদ রহমান তানভীর, মাওয়া গ্রুপের আহনাফ আকিফ, দিদার আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস বার্তা