চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরের পি-কেমিক্যাল শেডে দীর্ঘ দিন পড়ে থাকা অকশনকৃত ব্যবহার অনুপযোগী পণ্য ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ধ্বংসস্থলে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক (চবক) এবং এনএসআই কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
এই ধ্বংস প্রক্রিয়ার কাজের টেন্ডার পেয়েছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড।
ধ্বংসযোগ্য মালামালগুলো পরিবহনের জন্য লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের পি-কেমিক্যাল শেডে তিনটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ে আসে।
মোট ৫৩টি চালানের ৪৯ টন কেমিক্যাল পণ্য ধ্বংস করা হবে। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে সোডা অ্যাস, ফসফেরিক এসিড, ফুড ফ্লেভার, বেভারেজ, পারফিউম, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, লুব্রিকেন্টস ইত্যাদি।
এর মধ্যে ২৫টি চালানের ১৬ টন পণ্য বিভিন্ন সময়ে তিন বার নিলামে তোলেও কোন বারই দরমূল্য পাওয়া যায়নি।
বাকি ২৮ টি চালানের ৩৩ টন পণ্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইনভেন্ট্রি করা হলে সেগুলো ধ্বংসের জন্য সুপারিশ করা হয়।
পণ্যগুলোর মধ্য থেকে বুধবার (২ ডিসেম্বর) শুধু সোডা অ্যাস (পরিমাণ ১৪ টন) নিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাকি ধ্বংসযোগ্য পণ্যগুলো আগামী সপ্তাহে নিয়ে যাবার কথা রয়েছে।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হাসনাত নুর চৌধুরীর সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ধ্বংসযোগ্য পণ্যগুলো বুধবার (২ ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জের ছাতকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে আগামী ৬ ডিসেম্বর (রোববার) কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, চবক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উপস্তিতিতে ধ্বংস কার্যক্রম শুরু হবে।
সম্পূর্ণ ধ্বংসযোগ্য কার্যক্রম শেষ হতে বুধবার (২ ডিসেম্বর) থেকে আনুমানিক ১৫ দিন সময় লাগবে।