পটুয়াখালী: ‘প্রধানমন্ত্রী দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ, তিনি দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের কথা চিন্তা করেন বলেই পায়রা বন্দর,পদ্মা সেতু হয়েছে। এখানে এখন অনেক বিদেশী আসবেন। আমরা এ সী-বিচটাকে আরো ভালো মানের করতে চাই। এটা হবে একটি আন্তর্জাতিক মানের নান্দনিক সীবিচ হবে।’
বৃহষ্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে পটুয়াখালির সাগরকন্যা কুয়াকাটার সৈকত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতি মন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জন্য আমাদের প্রকল্প চলমান রয়েছে। কক্সবাজার বীচের জন্যও আমাদের প্রকল্প আছে। আর এখানে ৯৫০ কোটি টাকার মত একটি প্রকল্পের কাজ চলছে।’
জাহিত ফারুক বলেন, ‘নদী শাসনসহ যে কোন কাজে জনগণের সহযোগীতা প্রয়োজন। বিগত সময়ে এখানে যে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল, সেগুলোকে লোহা গিয়ে, সাইকেলের চাবি, সিগারেটের আগুন দিয়ে ছিদ্র করে দিয়েছিল। আমাদের যারা প্রকৌশলী রয়েছেন, তাদের আন্তর্জাতিক মানের সীবিচ তৈরি করার অভিজ্ঞতার জন্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের নিয়ে নেদারল্যান্ডে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তারা সেখানকার সীবিচ দেখে এসেছে এবং সেই গুণগত মানে কক্সবাজার এবং কুয়াকাটায় কাজ করবেন। রাতারাতি কোন কাজ করলে হবে তা টেকসই হবে না। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকল্প পাশ ও কাজ করতে চাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. রোকন উদ-দৌলা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মহা পরিচালক মো. ফজলুর রশিদ, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার, তত্বাবোধক প্রকৌশলী মজিবুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন, কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়ের আ. বারেক মোল্লা প্রমূখ।