চট্টগ্রাম: দেশের কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চট্টগ্রাম নগরে এসে কিছু যুবক কাজ হিসেবে ‘ছিনতাই’কে বেছে নিয়েছে। ছিনতাইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ভয়ংকর অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে এ সব যুবক।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা হতে এমন সাত ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন দ্রুত বিচার আইনসহ আট মামলার আসামীও রয়েছে।
এর মধ্যে চার ছিনতাইকারীকে টাইগার পাস মোড়ের পুলিশ বক্সের সামনে থেকে এবং অপর তিন ছিনতাইকারীকে স্টেশন রোডের নিজাম হোটেলের সামনে থেকে সোমবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়।
একই সাথে ছিনতাই হওয়া দুটি মোবাইল ফোন সেট তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
টাইগার পাাস মোড় থেকে গ্রেফতারকৃত চার ছিনতাইকারী হলো- কুমিল্লার নাঙ্গল কোর্টের বিষ্ণুপুর ইয়াছিন ড্রাইভারের বাড়ির মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র মো. সাইফুল (২৫), দেবিদ্বার থানার জাফরগঞ্জের শহিদ মিয়ার বাাড়ির মো. সুমন মিয়ার পুত্র মো. শান্ত হোসেন (২২), চট্টগ্রামের মীরসরাই নাজির পাড়ার খোকনের পুত্র রনি (১৯) এবং টাঙ্গাইলের নাগপুরের গোহাটার মিয়া বাড়ি প্রকাশ মাঝি মাতবরের বাড়ির মো. হাবিবের পুত্র মো. তানজিদ (১৭)।
হাজারীগলির শিব মন্দির ক্যাফে হাজারীর কর্মচারী মো. নুরুন্নবী (৪৮) থেকে একটি মোবাইল সেট ছিনতাই করে এ চারজন।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, আসামীরা ছিনতাই দলের সক্রিয় সদস্য। তারা সাধারণ মানুষের গতিবিধি লক্ষ্য রেখে হাতে থাকা মোবাইল কেড়ে নেয়।
অন্যদিকে, ষ্টেশন রোডের নিজাম হোটেলের সামনে গ্রেফতার হওয়া ছিনতাইকারীরা হলো: কুমিল্লার বরুডা জলমের যোগীমার ছোট বারেরার সর্দার বাড়ীর মো. ময়নাল প্রকাশ মনির হোসেনের পুত্র মো. রবিউল প্রকাশ লাবু (১৯), নোয়াখালীর সুবর্ণচর আট কপালি বাজার বশর ডাক্তারের বাড়ির জাহিদুল ইসলামের পুত্র রবিউল ইসলাম রিয়াজ (১৯) এবং চাঁদপুর মতলব দক্ষিণের লদুয়ার সরকার বাড়ির মৃত মোসলেম উদ্দিনের পুত্র মো. কাদের (২৪)।
নিউমার্কেট মোড়ের গোলচত্বরের উত্তর পাশে রাস্তার উপর থেকে মো. আজহারুল ইসলাম চৌধুরীর (৫০) কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাইয়ের দায়ে এ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফারকৃত আসামী মো. সাইফুলের বিরুদ্ধে একটি দ্রুত বিচার আইনে, একটি দন্ড বিধি আইনে ও একটি অস্ত্র আইনে, মো শান্ত হোসেনের বিরুদ্ধে দন্ড বিধি আইনের ৩৭৯/৫১১ ধারায় একটি এবং মো. রবিউল প্রকাশ লাবুর বিরুদ্ধে দুটি দ্রুত বিচার আইনে, একটি দন্ড বিধি আইনের ৩৯৯/৪০২ ধারায় ও একটি অস্ত্র আইনে মোট চারটি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
এ সাত আসামীকে ধরতে ফোর্সসহ অভিযানে অংশ নেন কোতোয়ালী থানার এসআই রবিউল ইসলাম, এএসআই সোমনাথ পাল, এএসআই শেখ শাহীন।