উপন্যাস পড়ার অভ্যাস আছে। সময় পেল পড়তে বসে পড়ি। বর্তমান থেকে শুরু করে কালজয়ী উপন্যাসও হাত ছাড়া করি না।
সম্প্রতি নবীন লেখক শান্তনু পালিতের ‘সংজ্ঞাহীন’ নামের একটি উপন্যাস পড়ার সুযোগ হয়েছে। শুরুর দিকে উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে বিরক্ত হয়েছিলাম।
উপন্যাস লেখার কাঠামোর বাইরে গিয়ে লেখক উপন্যাসটি লেখেছেন। পড়তে পড়তে যখন ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলি, তখনই লেখক সম্পর্কে একটা খারাপ চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। ভাবলাম, পুরোটা না পড়ে এরূপ চিন্তা-ভাবনা অন্যায়।অনেক কষ্ট করে পঁচাত্তর পৃষ্ঠার উপন্যাসটা পড়তে সক্ষম হলাম। পড়ে শুরুর দিকে যে বিরূপ ধারণা ছিল, তার অনেকখানি লাঘব হয়েছে।ইতিবাচক ভাবতে বাধ্য হয়েছি। শেষটা এতো সুন্দর করে লেখক শান্তনু পালিত করবেন, ভাবতেই পারিনি।
‘সংজ্ঞাহীন’ একটি প্রেম-ভালোবাসা ঘটিত উপন্যাস। প্রিয়জনকে পাওয়া, না পাওয়ার উপন্যাস। দীর্ঘ দিন ধরে ভালোবাসার পর, প্রকাশ করতে গিয়ে নেতিবাচক উত্তরের ফলে দূরে সরে যায় সায়ন নামের একটি ছেলে। আরেকটু অপেক্ষা করলে হয়তো ছেলেটার মনের আশা পূরণ হতো, কিন্তু না! ছেলেটির না পাওয়ার যন্ত্রণায় নিজেকে যখন অন্ধকারে ঢেলে দিচ্ছিল, প্রিয় মানুষটি মন থেকে হাত বাড়াতে চাইলেও সমাজ বাস্তবতা বাঁধা তাকে দেয়। মেয়েটিও অন্যজনকে আগে ভাগে মন দিলেও সায়নের প্রতিও এক ধরনের ভালোবাসা জন্মায়। শেষে সায়ন পাগল হয়ে যায় আর শ্রেয়া তার প্রেমিককে বিয়ে করে সংসার সাজায়।
‘সংজ্ঞাহীন’ উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশ (পুরোনো বইয়ে উল্লেখিত) ১২ অক্টোবর, ২০০৪। প্রচ্ছদে মুসফেকুর রহিম (বুয়েট), কম্পিউটার গ্রাফিক্সে মনসুর আলী, কম্পিউটার কম্পোজে বিভূতি চাকমা, মুদ্রণে ইউনির্ভাসাল প্রেস ও সত্ত্বাধিকারী লেখক শান্তনু পালিত নিজে।
উপন্যাসটির প্রিন্ট মূল্য আশি টাকা। ক্রয়মূল্য (পুরাতন হিসেবে) ৩০ টাকা।
রিভিউ দিয়েছেন নুরুন্নবী নুর