চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম: কাঞ্চনাবাদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের মত বিনিময় সভা শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে চন্দনাইশ বাদামতলের মাসুমা কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৮৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী সেলিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ ও বিভিন্ন ব্যাচের প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভার শুরুতে উপস্থিত সবার পরিচয় পর্বের পর স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে চাইলে সব ব্যাচের মধ্যে সমন্বয় অতীব জরুরি।’
মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন ব্যাচ ভিত্তিক অনুষ্ঠানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন, যাতে প্রত্যেক ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের নাম ও নাম্বারে একটি নির্দিষ্ট তালিকা হয়।
তিনি দুইটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এগুলো হল স্কুলের শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য শিক্ষা বিষয়ক উপকমিটি গঠন এবং ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মেজবানির আয়োজন।
সভায় উপস্থিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বক্তব্য হতে আরো বিভিন্ন প্রস্তাবনা উঠে আসে। এগুলো হল শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে কিভাবে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সাহায্য করতে পারে, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধ, স্কুলের শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণ তৈরি ইত্যাদি।
১৯৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিশিগান প্রবাসী মোহাম্মদ ফিরোজ গরীব শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য স্ব-স্ব স্থান থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাইলে প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকার গরীব ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিতে পারি।’
১৯৯০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন ‘আমাদের স্কুলের উন্নয়নে কোটি টাকা খরচ করতে পারবে এমন অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী আছেন।’ তিনি প্রস্তাবনাগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
১৯৮২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী আবু বক্কর ‘হুমায়ুন কবির চৌধুরী, বাদশাহ মিয়া, আফজাল হাজীসহ স্কুলের অনেক স্বপ্নদ্রষ্টাকে স্মরণ করেন।
তিনি সেই ছোট্ট কাঞ্চনাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের আজ বৃহৎ পরিসরে আসার ঘটনাগুলোর স্মৃতিচারণ করেন।
প্রেস নিউজ