হাটহাজারী (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীতে চাঁদাবাজীর উদ্দেশ্যে লোহার পাইপ দিয়ে সৃষ্টি করা প্রতিবন্ধকতাটি অপসারণ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন। যদিও চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাটহাজারী সার্কেলেরই কাজটি করার কথা ছিল।
কিছু দিন হাটহাজারীর ১২ নম্বর চিকনদন্ডী ইউনিয়নের আহনের পাড়া এলাকায় কাটাখালী- মদুনাঘাট সড়কের উপর লোহার পাইপ বসিয়ে যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করছিলেন চাঁদাবাজরা। এ নিয়ে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাটহাজারী সার্কেলে অভিযোগ দেওয়ার একদিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাধ্যমে জানতে পেরে সড়ক থেকে পাইপ অপসারণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন ইউএনও রুহুল আমিন।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সকালের অভিযানে তিনি এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
জানা যায়, আহনের পাড়া এলাকায় কাটাখালী – মদুনাঘাট সড়কের উপর লোহার পাইপ গেড়ে তাতে তালা দিয়ে রাখেন স্থানীয় এক চাঁদাবাজ। এতে এলাকায় অগ্নি নির্বাপক যানবাহন ও ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এলাকার ভবন নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে ট্রাক প্রতি চাঁদা প্রদান নতুবা চাঁদাবাজদের কাজ থেকে চড়া দামে নির্মাণ সামগ্রী কিনতে হয়। এ নিয়ে ২৮ নভেম্বর মো ইউসুফ হোসেন ভুলু নামে এক ঠিকাদার হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ করেন।
ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি চিকনদন্ডী ইউনিয়নের কাটাখালী সড়কের উপর পাইপ গেড়ে চাঁদা আদায় করছেন কিছু লোক৷ পরে আমি ঢাকা থেকে আসার পর অভিযান চালিয়ে পাইপ অপসারণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করি। স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানতে পেরেছি জনৈক খোকন নামের এক ব্যক্তি এই পাইপ গেড়ে চাঁদা আদায় করছিলেন ।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মো. ইউসুফ হোসেন ভুলু বলেন, ‘কাটাখালী সড়কে পাইপ গেড়ে ট্রাক চলাচলে বাঁধা দিয়ে প্রতি গাড়ি বাবদ চাঁদা দাবি করা হচ্ছিল। আমি এর প্রতিকার চেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছিলাম।’