চট্টগ্রাম: রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণায় মদ ও সিগারেট আমদানির দায়ে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) পরিচালনাধীন নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের মাজেন (বাংলাদেশ) ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের একটি কনটেইনার জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।
জানা যায়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাজেন (বাংলাদেশ) ইন্ডাস্ট্রিজ হংকং থেকে উৎপাদন সরঞ্জামাদি, নির্মাণ সরঞ্জাম, প্যাকিং উপাদান, খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদি ঘোষণা দিয়ে এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। পণ্যচালানটি খালাসের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাবাদে অবস্থিত সিএন্ডএফ এজেন্ট মল্লিক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল গত ২১ মার্চ কাস্টম হাউজে বিল অব এন্ট্রি (নং-সি-৬২০৫০) দাখিল করে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) টিমের কাছে গোপন সংবাদ থাকায় এসাইকোডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রিটি লক করে রাখা হয়। পণ্য পরীক্ষার জন্য কন্টেইনারের ভিতরের সব পণ্য বের করার জন্য সিএন্ডএফ প্রতিনিধিকে অনুরোধ করা হলে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে কনটেইনার কিপ ডাউন করে পণ্য নামানো হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর টিম পরীক্ষা করে দেখতে পায়, খাদ্য সামগ্রী ঘোষণায় আনা বড় কাঠের বক্সের ভেতর বিভিন্ন কার্টনে খাদ্য সামগ্রীর সাথে লুকানো অবস্থায় সিগারেট, মদ ও বিয়ার রয়েছে।
সব পণ্য পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, আমদানিকারক ঘোষণা বহির্ভূতভাবে আনুমানিক সাড়ে ২৬ লিটার লিটার মদ, ১০ হাজার ২০০ শলাকা সিগারেট, এক কেস বিয়ার আমদানি করেন। বেপজার আমদানি পারমিট (আইপি) পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে জুস, চা, বাদাম ও লেমন সিডের আমদানির অনুমোদন থাকলেও আমদানিকারক মদ ও সিগারেট ছাড়াও চকলেট, কেক, কফি, বাদাম, চিনি, পানি, সুপ ইত্যাদি নিয়ে আসেন। তাছাড়া, আমদানিকারক বিল অব এন্ট্রিতে ঘোষিত পণ্যের চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য এবং ঘোষণা বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করেন।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম।