ঢাক-কাঁসরের তালে তালে
হরষে মন নাচে
শরৎকালে বাপের বাড়ি
আসেন দূর্গা মা’যে।
কৈলাস শৃঙ্গ থেকে আসেন
পুত্র-কন্যা নিয়ে,
সাথে আসে অসুরপতি
হাসে খলখলিয়ে।
নারী বলে তুচ্ছ জ্ঞানে
মহিষাসুর হাসে,
অবলা নারী আমার সাথে
যুদ্ধ করতে আসে!
স্পর্ধা দেখে তোমার আমি
হচ্ছি হতবাক!
ফিরে গিয়ে কর গৃহকার্য
বাজাও সান্ধ্য শাঁখ।
রণক্ষেত্রে নারীমূর্তি
শোভা নাহি পায়,
রণসজ্জা ছেড়ে তুমি
চলো নিরালায়।
ব্যঙ্গ শুনে ত্রিনয়নী
রণমুর্তি নিল,
ত্রিশূলাঘাতে মহিষাসুর
ভূলুণ্ঠিত হল।
স্বম্ভিত ফিরে পেল অসুর
চোখে অশ্রু বারি,
ভালই করেছ মাগো তুমি
কুপুত্রেরে মারি।
মূর্খ আমি, নারী বলে তাই
করেছি অবহেলা,
এবার বুঝেছি বিজয়ীনি নারী
তুমি যে নও অবলা!
ক্ষমা কর মাগো কুপুত্রেরে
তব পদে দিও ঠাঁই,
তোমার সাথে যুগে যুগে
আমিও যেন পূজা পাই।
তথাস্তু বলে মমতাময়ী
নিজ পদে দিল ঠাঁই,
সেই থেকে আজো অসুরপতি
প্রতি মন্ডপে পূজা পায়।
নারীই পারে মাতৃরূপে
সর্বংসহা হতে,
সব কুকীর্তি ক্ষমা করে দিয়ে
কাছে টেনে নিতে।
কবি: লেখক ও গণ মাধ্যম কর্মী, চট্টগ্রাম