মানবে দেখাতে মুক্তির পথ
এসেছিলে এই ভূবনে,
রাণী মহামায়ার কোল আলো করে
লুম্বিনী কাননে
বৈশাখী পূর্ণিমার এই পূণ্য লগনে।
সপ্ত পদে সপ্ত পদ্ম প্রস্ফুটিত হল
আমি জেষ্ঠ্য- আমি শ্রেষ্ঠ ঘোষণা সে দিল,
দেব- নরে বিস্মিত হল তার আচরণে!
সকলেই করল কুর্ণিশ রাজার নন্দনে।
ক্রমে কুমার সিদ্ধার্থ বয়োঃ প্রাপ্ত হল
পিতা শুদ্ধোদনের মনে চিন্তা উদয় হল!
রাজকার্যে উদাসিন এই পুত্রের আচরণে
কেমনে হবে রাজ্য রক্ষা ভাবেন মনে মনে।
জন্ম, জ্বরা, ব্যাধি, দুঃখ হতে
মুক্তি লাভ তরে
গৃহত্যাগী হল কুমার
রাজ্য – সংসার ছেড়ে,
রাজবেশ ত্যাগী চললেন
গৈরিক বসনে।
ছয় বছর কঠোর তপস্যার ফলে
বুদ্ধত্ব লভেন গয়ার বোধিদ্রুম মূলে,
বৈশাখী পূর্ণিমার এই পূণ্য লগনে
সহস্র বন্দনা বুদ্ধের চরণে।
দিকে দিকে ৪৫ বছর করেন ধর্ম দান
কোটি ভক্ত করে সেই ধর্ম সুধা পান,
মুক্তির অমৃত পথ
নাম তার নির্বাণ।
নির্বাপিত হলেন বুদ্ধ
কুশীনগরের জমক শাল তরু বনে
বৈশাখী পূর্ণিমার এই পূণ্য লগনে।
বুদ্ধ, ধর্ম, সংঘে নমি
কায়- বাক্য- মনে,
গৌতম বুদ্ধের এই
ত্রি- স্মৃতি স্মরণে।
কবি: লেখক ও সাংবাদিক, চট্টগ্রাম