চট্টগ্রাম: আগামী ২০২১ শিক্ষা বর্ষে চট্টগ্রাম নগরীর দশটি সরকারি স্কুলে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে লটারীর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া (১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার) সকাল দশটা থেকে শুরু হয়েছে।
স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েব সাইটে (www.gsa.teletalk.com.bd) গিয়ে ১১০ টাকা ফি জমা দিয়ে ভর্তিচ্ছুরা আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবে।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ থাকছে। এর পর একযোগে লটারি অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর। কেন্দ্রীয়ভাবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ লটারি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে টেলিটক। অনলাইন লটারির মাধ্যমেই ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
চট্টগ্রাম দশটি সরকারি স্কুলে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে মোট চার হাজার একটি শুন্য আসনের বিপরীতে এবার ভাগ্য যাচাই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণিতে দুই হাজার, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৮০৩, সপ্তম শ্রেণিতে ২০, অষ্টম শ্রেণিতে ২১০ জন এবং নবম শ্রেণিতে ৯৬৮ জন শিক্ষার্থী এবার ভর্তির সুযোগ পাবে।
১৪ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকালে জেলা ভর্তি কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ স ম জামসেদ খোন্দকার জানান, সভার সিদ্ধান্ত ও মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী এবার একজন শির্ক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি অপশন অর্থ্যাৎ পাঁচটি স্কুলে আবেদন করতে পারবে। এ বছর শিফট উল্লেখ করেও পৃথক পৃথক অপশন দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি শিফটকে একটি অপশন হিসেবে গণ্য করা হবে। (যেমন- কোন আবেদনকারী একই বিদ্যালয়ে উভয় শিফটে অপশন দিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে পাঁচটি অপশনের মধ্যে দুইটি অপশন গনণা হবে এবং তার কাছে আর বাকি থাকবে তিনটি অপশন)।
অন্য বছরের মত সকল শ্রেণির ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, দুই শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা ও দুই শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারী কোটা সংরক্ষিত থাকবে। শুধু ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০ শতাংশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কোটা সংরক্ষিত থাকবে।
অন্য বছরের ন্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শিক্ষা শাখা কর্তৃক কোটার স্বপক্ষে কাগজপত্র যাচাই করা হবে। যাচাইয়ের তারিখ, সময় ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তথ্য যথাসময়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় থেকে জানা যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ফলাফল প্রকাশের পর ভর্তির তারিখ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃক নিধারণ করা হবে।
চট্টগ্রাম নগরীর দশ সরকারী স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যা: চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ১৬০ জন, দিবা শাখায় ১৬০ জন, ৮ম শ্রেণিতে ১০ জন, ৯ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন (বিজ্ঞান) ও দিবা শাখায় ৮০ জন (বিজ্ঞান)।
ডা. খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ১৬০ জন, দিবা শাখায় ১৬০ জন, ৯ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন (বিজ্ঞান) ও দিবা শাখায় ৮০ জন (বিজ্ঞান)।
গভঃ মুসলিম হাই স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন, দিবা শাখায় ৮০ জন, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন, দিবা শাখায় ৮০ জন, ৯ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন (বিজ্ঞান) ও দিবা শাখায় ৮০ জন (বিজ্ঞান)।
নাসিরাবাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন, দিবা শাখায় ৮০ জন, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন, দিবা শাখায় ৮০ জন, ৮ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৫০ জন, দিবা শাখায় ৩০ জন, ৯ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন (বিজ্ঞান) ও দিবা শাখায় ৮০ জন (বিজ্ঞান)।
চট্টগ্রাম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ১৬০ জন ও দিবা শাখায় ১৬০ জন।
চট্টগ্রাম সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন, দিবা শাখায় ৮০ জন, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন, দিবা শাখায় ৮০ জন, ৯ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৩০ জন (বিজ্ঞান) ও দিবা শাখায় ৩০ জন (বিজ্ঞান)।
বাকলিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বালিকা প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন, বালক দিবা শাখায় ৮০ জন, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে বালিকা প্রাতঃ শাখায় ৭০ জন, বালক দিবা শাখায় ৭০ জন, ৮ম শ্রেণিতে বালিকা প্রাতঃ শাখায় ৩০ জন, বালক দিবা শাখায় ৩০ জন, ৯ম শ্রেণিতে বালিকা প্রাতঃ শাখায় ৩০ জন (বিজ্ঞান), ৪০ জন (ব্যবসায় শিক্ষা), বালক দিবা শাখায় ৩০ জন (বিজ্ঞান) ও ৪০ জন (ব্যবসায় শিক্ষা)।
সিটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ১৬০ জন, দিবা শাখায় ৮০ জন, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে দিবা শাখায় ৬০ জন, ৮ম শ্রেণিতে দিবা শাখায় ৬০ জন ও ৯ম শ্রেণিতে দিবা শাখায় ৮০ জন।
হাজী মুহাম্মদ মহসীন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ৮০ জন, দিবা শাখায় ৮০ জন, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ১০ জন, দিবা শাখায় ১০ জন, ৭ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ১০ জন, দিবা শাখায় ১০ জন, ৯ম শ্রেণিতে প্রাতঃ শাখায় ১০ জন (বিজ্ঞান) ও দিবা শাখায় ১০ জন (বিজ্ঞান)।
চট্টগ্রাম সরকারী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে দিবা শাখায় ১০৩ জন ও নবম শ্রেণিতে দিবা শাখায় ২৮ জন (ব্যবসায় শিক্ষা)।