চট্টগ্রাম: বৃহস্পতিবারের (১৪ জুলাই) জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়া দেশের ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকা পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
পরিদর্শন করে তিন বলেন, ‘সাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাব এক সাথে হওয়ায় জোয়ারের পানির স্তর বেড়ে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম সিটির বেশ কিছু এলাকা। খাল ও ড্রেনেজ সিস্টেমের অব্যবস্থাপনার কারণে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জোয়ারের পানি প্রতিরোধ করা সম্ভব।’
মেয়র আরো বলেন, ‘চসিকের তরফে মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং, লিফিলেট ও জরিমানা আদায় করছি; তাও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। করপোরেশন থেকে ঘরে ঘরে ডাস্টবিন দিয়েছেন। এগুলোতে কেউ চাল রাখে, কেউ ডাল রাখে। জলাবদ্ধতা নিরসরন করতে নিজেকে সচেতন হতে হবে খালের মধ্যে ময়লা ফেলা যাবে না।’
প্রসঙ্গত, চসিকের সাবেক মেয়র ডোর টু ডোর ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের জন্য সিটির ৪১ ওয়ার্ডের প্রতিটি হোল্ডিং তথা বাসা-বাড়িতে বিন (ময়লা রাখার পাত্র) দিয়েছিলেন। ওই উদ্যোগের ফলে তখন সিটির আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় সফলতা পেয়েছিলেন আ জ ম নাছির। ওই বিনগুলো এখন নগরবাসী চাল-ডাল রাখার জন্য ব্যবহার করে বলে উল্লেখ করেন বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটির জলাবদ্ধতা অনেক বড় সমস্যা। এ সমস্যা নিরসনে মাষ্টার প্ল্যান অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। সিটির সব খালের দখলকৃত জায়গা উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় উন্নয়নে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। কেননা জাতীয় অর্থনীতির সিংহভাগ যোগানদাতা চট্টগ্রাম। ক্রমান্বয়ে চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতায় সারা বছর বন্দি হয়ে গেলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই জলাবদ্ধতার এ ধারা রোধ করতে খালের জায়গা খালকে ফিরিয়ে দিয়ে ও খনন কাজ ত্বরান্বিত করে তার গতি আনতে পারলেই সিটির জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হবে।’
পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ, মহিলা কাউন্সিলর, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।