ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. ইকবাল মাহমুদ দুদক বলেছেন, ‘আমাদের ব্যর্থতা স্বীকার করতে হবে। সমস্যা স্বীকার না করলে-সমাধান হবে কীভাবে ? আজ আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে, আমরা রাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবো না। যে কাজটি করবো, তা নির্মোহভাবে করবো। অনিচ্ছাকৃত ভুল হতে পারে, তবে ইচ্ছাকৃত ভুল যেন না হয়। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারি। তবেই তো কর্মপ্রক্রিয়া পরিশুদ্ধ হবে। শানিত হবে।’.
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
দুদকের সার্বিক কার্যক্রমকে টিমওয়ার্ক অবহিত করে দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘সিপাহী থেকে চেয়ারম্যান প্রত্যেক-কেই নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবাই যদি সততা, নিষ্ঠা ও সুচারুরূপে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে দুদকের মাধ্যমে হয়রানি করা যায় কিংবা সরষের ভিতরেই ভুত রয়েছে-এ জাতীয় অপবাদ শোনা যাবে না।
তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নিজেকে সর্বোচ্চ পরশিুদ্ধ রাখতে হবে। সম্পদের মোহাচ্ছন্ন হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’
কোথাও কোথাও লেখা দেখি, “সম্পত্তি খাবে লোকে, আর দেহ খাবে পোকে।”-এমন কথা উদ্ধৃত করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘যাদের জন্য সম্পদ রেখে যাবেন, তারা হয়তো এ সম্পদ ভোগও করতে পারবে না। এটাই সত্য। তাই নিজেদেরকে শুদ্ধতম মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুন। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করুন।’
সভায় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান তিনি বিভিন্ন পরসিংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, ‘একমাত্র জনসংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়া পাকিস্তান সকল অর্থনৈকি-সামাজিক সূচকের ইতিবাচক অগ্রগতিতে বাংলাদেশের পিছনে রয়েছে। যদি দেশ স্বাধীন না হতো, হয়তো আমাদের আরও খারাপ পরিণতি হতো।’
দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, মহাপরিচালক মো. জহির রায়হান, সাঈদ মাহবুব খান, একেএম সোহেল, পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. মাহমুদ হাসান, দুদক সিলেট সজেকার উপপরিচালক মো. নূর-ই-আলম প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।