চট্টগ্রাম: দ্বিতীয় দিনের পতাকা নামিয়ে ক্যাম্পের শেষ দিনে যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। ইতিমধ্যে ক্যাম্পে অংশগ্রহণকরী প্রশিক্ষণার্থীরা তথ্য ও প্রযুক্তিসহ নেতৃত্ব গঠন, ডিজিটালাইজেশন, জনসংযোগ, অগ্নিনির্বাপণ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মনোবিদ্যা, বিশ্বায়ন ও প্রাথমিক চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়োছেন। শেষ দিনে সফল মানুষদের জীবনের গল্প শুনবেন তারা। এছাড়াও, শেষ যুবসমাজকে দেশের প্রতি দায়িত্বশীল করতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সূর্যাস্তের সাথে সাথে দ্বিতীয় দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ও চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে আর্তমানবতার সেবায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা নিয়োজিত। রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা মানব সেবায় উদ্ধুদ্ব হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখে। স্বাধীনতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশ গঠনে যুব সমাজকে এগিয়ে যেতে হবে।’
ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে আর্তমানবতার সেবায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সবুজায়নের স্মার্ট দেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা অপরিসীম। শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তারুণ্য, উদ্দীপনা ও এক অনিঃশেষ প্রেরণার নাম।’
তিনি তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত স্বনির্ভর জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে পুরো দিন ব্যাপী রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট প্রশিক্ষণ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মাধ্যমে শৃঙ্খলিত ও দেশপ্রেম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের শারীরিক সক্ষমতা ও শৃঙ্খলা, সামগ্রী প্রর্দশন, দুর্যোগে সাড়া প্রদান বিষয়ে মহড়া প্রদর্শন ও প্রশিক্ষণ, তথ্য যোগাযোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
বলে রাখা ভাল, চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পুরো দেশের ৬৮টি ইউনিট থেকে চার দিনব্যাপী এক হাজার ৪৫০ জন যুব স্বেচ্ছাসেবক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অংশ নিচ্ছেন। আগতদের সুশৃঙ্খল ও ক্যাম্প সুচারুরূপে সম্পাদন করার লক্ষ্যে সাব ক্যাম্প বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং সাতজন বীর শ্রেষ্ঠের নামে নামকরণ করে আটটি সাব ক্যাম্প করা হয়।
