চট্টগ্রাম: ফিজিবিলিটি স্টাডি ছাড়া এবং অপচয়মূলক কোন খাতে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য কোন প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত হবে না বলে মতামত দিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষয়ণা পরিষদের সভাপতি কমোডোর (অব) জোবায়ের আহমদ।
(২৬ ডিসেম্বর) শনিবার বিকাল চারটায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কেবি আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ মতামত দেন।
এতে সভাপতির বক্তব্যে জোবায়ের আহমদ আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর ভৌগলিক অবস্থার কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নৌ ব্যবসায়-বানিজ্যের মালামাল হ্যান্ডলিংয়ের অন্যতম প্রধান হাব হিসাবে পরিগণিত হবে। তার জন্যে এখন থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কার্গো/কনটেইনার হ্যান্ডলিং সামাল দিতে ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারকে জরুরী ভিত্তিতে উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুসারে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অর্থ দিয়ে বন্দরের ব্যয় মিটিয়ে বন্দরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব বিধায় বন্দরের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে বন্দরের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যথাযথ হবে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন। এতে বাংলাদেশের সার্বিক জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার এমএ সবুর, ইঞ্জিনিয়ার সলিমুল্লাহ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. মাহফুজুর রহমান খান, জসিম উদ্দিন বাবুল, এডভোকেট রনাঙ্গ বিকাশ চৌধুরী, মো. জামাল উদ্দিন, আবু জাফর আজাদ, কালাম চৌধুরী, এডভোকেট সাজ্জাদুর রহমান বাচ্চু, মো. শাহাবুদ্দিন, তপন চক্রবর্ত্তী, মো. শরিয়তউল্লাহ, আব্দুর রহমান সিকদার, এডভোকেট প্রণব কান্তি পাল, এডভোকেট রেভা বড়ুয়া, মুছা আলনুরী প্রমুখ।